সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম স্ত্রীকে হয়তো আর মনে ধরছিল না। তাই দ্বিতীয় স্ত্রী’র সঙ্গে দিন কাটাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস ভাল চোখে দেখেনি প্রথম পক্ষের স্ত্রী। নিষেধ না শোনায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন আক্রান্ত ব্যক্তির পরিজনরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মুজাফ্ফরনগরের মিমলানা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বিয়ের পর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও ওই দম্পতির কোনও সন্তান হয়নি। এই ঘটনায় গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানারকম অভিযোগ তুলতে থাকে। সেসব শুনে শেষপর্যন্ত স্বামীকে দ্বিতীয়বার বিয়ের অনুমতি দেয় গৃহবধূ। এরপর ফের বিয়ে করেন ওই ব্যক্তি। বিয়ের পরেপরে দুটো আলাদা বাড়ি করে দুই স্ত্রীকে রাখেন। নতুন অর্থাৎ দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গেই বেশিরভাগ দিন থাকতেন তিনি। কিছুদিন আগে শিশুসন্তানের জন্মও দেন দ্বিতীয় স্ত্রী। এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু বাবা হওয়ার পর থেকে প্রথম স্ত্রীর বাড়ি আসা তো দূরের কথা, দেখাও একপ্রকার বন্ধ করে দেন ওই ব্যক্তি। এমনিতেই সন্তান না হওয়াতে গঞ্জনার অন্ত ছিল না। তায় দ্বিতীয় স্ত্রী সংসারে পা দিতে না দিতেই মা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রথম স্ত্রীর উপরে মানসিক অত্যাচার বেড়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। তার উপর স্বামীর এমন অবহেলায় সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এরপর স্বামীকে ডেকে পাঠায় সে। বুধবার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন ওই ব্যক্তি। তখনই ঘটনাটি ঘটায় ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, দীর্ঘদিন তার বাড়িতে না আসার অপরাধে স্বামীর পুরুষাঙ্গটি কেটে নেয় সে।
ঘটনার পর দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত ব্যক্তির পরিজনরা। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত গৃহবধূ। তাকে খুঁজে বের করতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.