সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের আগে প্রেমিকের সংখ্যা ছিল তিন। বিয়ের পর স্বামীর বন্ধু এবং তাঁর বন্ধু মিলিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়ায় পাঁচ। এদের মধ্যে তিন জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। কোনওভাবে সেই প্রেমপর্বের কথা জেনে যান স্বামী। শুরু হয় অশান্তি। অভিযোগ, এরপর নিজের প্রেমিকদের দিয়ে পথের কাঁটা স্বামীকে খুন করান তরুণী। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তরুণী এবং তাঁর প্রেমিকদের। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ঝাঁসির এই অপরাধের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
মৃত্যু হয়েছে ঝাঁসির বাসিন্দা শিবার। হত্যায় অভিযুক্ত তাঁর স্ত্রী মাধুরী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবাকে বিয়ের আগে অবিবাহিত মাধুরীর তিন তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে ছিল। এদের মধ্যে দু’জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও ছিল। শিবা মুম্বইয়ে একটি কাপড়ে কারখানায় কাজ করতেন। নিজের স্মার্টফোন না থাকায় সহকর্মী জয়হিন্দের মোবাইল ফোন থেকে স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলতেন। এভাবেই জয়হিন্দের সঙ্গে আলাপ হয় মাধুরীর। কিছুদিনের মধ্যে তাঁদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর জয়হিন্দের বন্ধু কুলদীপের সঙ্গে আলাপ হয় তরুণীর। তাঁর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে মাধুরীর। পুলিশের দাবি, শারীরিক সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয় শিবা মুম্বই থেকে ফিরে আসায়। এরপরেই তিনি মাধুরীর যাবতীয় কীর্তি জানতে পারেন। এবং অশান্তি শুরু হয় সংসারে। এমনকী তিনি মাধুরীকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ। এর পরেই পথের কাঁটা স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করেন তরুণী। তাতে কাজে লাগান নিজের প্রেমিকদের। শিবাকে খেতে ডেকে নিয়ে যান জয়হিন্দ। মাধুরী ফোন করেন অন্য প্রেমিকদের। অভিযোগ, প্রেমিকার নির্দেশে মতো একজোট হয়ে অপরেশন চলে। শিবাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আধমরা করে দেওয়া হয়। সব শেষে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন জয়হিন্দ।
ঘটনার পরে দেহ উদ্ধার হলেও খুনের কিনারা করতে পারছিল না পুলিশ। শেষ পর্যন্ত মাধুরীকে একটানা জেরা করে তাজ্জব বনে যান তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও আটজনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে শিবার পরিবার। বিস্তারিত তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে ঝাঁসি পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.