সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণধর্ষণ তারপর মহিলার মুখে প্রস্রাব। শুধু তাই নয়, নারকীয় অত্যাচার চালানোর পর ইঞ্জেকশনের মাধ্য়মে ‘বিষাক্ত’ পদার্থ তাঁর শরীরে প্রবেশ করানো হয়! এই অভিযোগে কর্নাটকের এক বিজেপি বিধায়ক এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল পুলিশ। এর আগেও একাধিকবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন হেনস্তা, এইচআইভি আক্রান্ত মহিলাদের দিয়ে বিভিন্ন রাজনীতিকদের মধুচক্রে ফাঁসানোর মামলা দায়ের হয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মুনিরথনা। আজ বুধবার উত্তর বেঙ্গালুরুর এক থানায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, এই ঘটনা ২০২৩ সালের ১১ জুনের। তিনি বিজেপি কর্মী। সেদিন ছিলেন মথিকেরে এলাকায় মুনিরথনার অফিসে। মুনিরথনার নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা ফৌজদারি মামলা করা হয়েছিল। যার থেকে রেহাই পেতে বিধায়কের সঙ্গীদের সঙ্গে তিনি ওই অফিসে গিয়েছিলেন।
পুলিশের কাছে জানানো অভিযোগ অনুযায়ী, সেদিন অফিসের ভিতরে মুনিরথনা আর তাঁর দুই সহযোগী মহিলাকে নগ্ন করে অত্যাচার শুরু করেন। মহিলাকে ভয় দেখানো হয় ছেলেকে খুন করার। মুনিরথনা দাঁড়িয়ে থেকে বাকিদের নির্দেশ দেন, মহিলা ধর্ষণ করার। তারপর অভিযুক্ত মুনিরথনা মহিলার মুখে প্রস্রাব করে দেন। আরও অভিযোগ, এরপর চারজন অপরিচিত ব্যক্তি ঘরে এসে একটি সাদা বাক্স মুনিরথনার হাতে দেয়। সেখান থেকেই সিরিঞ্জ বের করে মহিলা গায়ে ফুটিয়ে বিষাক্ত পদার্থ শরীরে প্রবেশ করানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ওই মহিলা গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, মহিলা এমন এক ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন যার থেকে সেরে ওঠা সম্ভব নয়। নির্যাতিতা নিশ্চিত হয়ে যান ওই বিষাক্ত ইঞ্জেকশনের কারণেই এমনটা হয়েছে। ১৯ মে ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু বেঁচে যান। এরপরই নির্যাতিতা সিদ্ধান্ত নেন গোটা বিষয় পুলিশকে জানানো। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই মামলার পাশাপাশি বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে মুনিরথনার বিরুদ্ধে। সেই বিষয় তদন্ত করার জন্য কর্নাটক বিধানসভার স্পিকার পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.