সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসদমনে ভারত ও আমেরিকার গতি রুখে দিয়েছে ‘চিনের প্রাচীর’। পাঠানকোট হামলার মূলচক্রী মাসুদ আজহারকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ ঘোষণার পথ বন্ধ করে রেখেছে বেজিং। তাই প্রতিবার রাষ্ট্রসংঘে হোঁচট খেতে হয়েছে দিল্লি ও ওয়াশিংটনকে। এবার সেই বাধা টপকাতে নয়া পন্থা নিয়েছে দুই দেশ। সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ‘চিনা প্রাচীর’ ভাঙতে ডিসেম্বরেই আলোচনায় বসতে চলেছেন ভারতীয় ও মার্কিন আধিকারিকরা।
[এবার ড্রোনেও থাকবে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর]
সদ্য চিনের ‘ভেটো’য় নিরাপত্তা পরিষদে পার পেয়ে যায় জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান ও পাঠানকোট হামলার মূলচক্রী মাসুদ আজহার। তাই এবার আঁটঘাট বেঁধেই মাঠে নামতে চাইছে ভারত ও আমেরিকা। সূত্রের খবর, আগামী মাসের বৈঠকে জঙ্গিদের পরবর্তী তালিকা নিয়ে আলোচনা করবে দুই দেশ। তারপর রাষ্ট্রসংঘে ওই সন্ত্রাসবাদীদের ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ তকমা দেওয়ার জন্য একযোগে আবেদন জানাবে দিল্লি-ওয়াশিংটন। এছাড়াও জইশ, লস্কর, আল কায়দা, আইএস ও ডি-কোম্পানির উপর চাপ বাড়ানোর পন্থা নির্ণয় করা হবে।
বিদেশমন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন বেজিংয়ের কৃপায় আপাতত স্বস্তি পেলেও চাপ বাড়তে চলেছে জঙ্গি মাসুদের উপর। এবার ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ তকমার জন্য রাষ্ট্রসংঘে উঠে আসতে পারে তার দুই ভাই আব্দুল রাউফ আসগর ও ইব্রাহিম আঠার আলভির্নামও। ভারত ও আমেরিকার তৈরি সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় নাম রয়েছে এই দুই জঙ্গির। উল্লেখ্য, পাঠানকোট হামলায় অভিযুক্ত আসগর। কান্দাহার বিমান অপহরণ মামলার মাথা ছিল আলভি। এছাড়াও একাধিক পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের নাম আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরবে ভারত ও আমেরিকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে এই চালে বিপাকে পড়তে চলেছে চিন। কারণ মাসুদের পক্ষে সওয়াল করলেও অন্য জঙ্গিদের পক্ষে দাঁড়ালে ধাক্কা খাবে চিনের ভাবমূর্তি। সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে একঘরে হয়ে পড়তে পারে বেজিং। এছাড়া জিনজিয়াং প্রদেশে ‘উইঘুর সন্ত্রাস’ নিয়ে উদ্বিগ্ন চিন। তাই দু’মুখো নীতি নিয়ে নিজের সমস্যা আর বাড়িয়ে তুলবে না লালচিন, বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[‘ইন্দো-চিন যুদ্ধ, ডোকলাম নিয়ে ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন বল্লভভাই প্যাটেল’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.