সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে দাম্পত্য কলহের জেরে অন্যতম নৃশংস হত্যাকাণ্ড। স্ত্রীকে মারধর করে একটি ঘরে সাত দিন ধরে আটকে রাখেন স্বামী। খাবার তো দূরের কথা, এক গ্লাস জলও দেননি। প্রতিবেশীরা খবর দিলে পুলিশ এসে দরজা বন্ধ ঘর থেকে মহিলার পচা-গলা দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের নিম্ন আদালত আজীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দিল স্বামীকে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের করেলি গ্রামের। মৃতার নাম মমতা। তাঁকে খুনের অভিযোগ ওঠে স্বামী মনোজের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। একদিন মমতা ও মনোজের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। এর ঠিক সাতদিন পর মনোজের বাড়ির একটি ঘর থেকে পুলিশ মমতার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। ঘরটি বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। এই ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত মনোজকে।
মমতার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। ওই রিপোর্টে জানা যায়, দীর্ঘ দিন অভুক্ত থাকার ফলেই মারা গিয়েছেন মহিলা। শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, মমতাকে ‘নৃশংস ভাবে খুন’ করেছে মনোজ। সাত দিন ধরে স্ত্রীকে ঘরে আটকে রেখে দিয়েছিলেন। খাবার তো দূরে থাক, জল পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি মহিলাকে। চার বছর মামলা চলার পরে শনিবার স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক সুনীল পাণ্ডে। দোষীকে আজীবন কারাদণ্ডের শাস্তি শোনান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.