সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রশ্ন ছিল একটি। উত্তরটিও তিনি দিয়েছিলেন। সঠিকই দিয়েছিলেন। কিন্তু পরীক্ষকদের মতে তা ছিল ভুল। তাই দেওয়া হয়নি ১ নম্বর। কিন্তু এই ১ নম্বরের উপরই নির্ভরশীল ছিল কে ভিরমানির পাশ-ফেলের সিদ্ধান্ত। তাই নাছোড়বান্দা ছিলেন তামিলনাড়ুর পরীক্ষার্থী। শিক্ষকতার জন্য পরীক্ষা দিচ্ছিলেন তিনি। তাই ন্যায্য পাওনা ছাড়তে নারাজ ছিলেন। তা পেতেই হাজির হয়েছিলেন মাদ্রাজ হাই কোর্টের এজলাসে। মামলা দায়ের করেছিলেন টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে। ভিরমানির দাবি ছিল, সংস্কৃত নয় বাংলাতেই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন জাতীয় স্তোত্র ‘বন্দে মাতরম’। আর পরীক্ষায় তাঁর উত্তর একদম সঠিক। তাই বোর্ডের নম্বর কাটার কোনও অধিকার নেই।
[দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রালে গুলির লড়াই, নিকেশ ২ জঙ্গি]
কিছুদিন আগেই হাই কোর্টে বিচারপতি এম ভি মুরলিধরণের এজলাসে উঠেছিল মামলাটি। ভিরমানির আবেদনে ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন খোদ হাই কোর্টের বিচারপতিও। সিদ্ধান্ত না নিতে পেরে তিনি বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের ভার দিয়েছিলেন স্টেট অ্যাডভোকেট জেনারেলকে। নির্দেশ দিয়েছিলেন, অবিলম্বে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানাতে। বিচারপতির সেই প্রশ্নের উত্তরই সম্প্রতি দিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। জানিয়ে দিলেন, ‘বন্দে মাতরম’ শব্দটি সংস্কৃত থেকে নেওয়া হলেও পুরো গানটি বাংলাতেই লিখেছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। আর এতেই নম্বর বাড়ল কে ভিরমানির। ভুল শুধরে তাঁর প্রাপ্য নম্বরটি অবিলম্বে বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মুরলিধরণ। সেই সৌজন্যেই টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের পরীক্ষায় সসম্মানে উতরে গেলেন পরীক্ষার্থী।
[সুবিচার ছিনিয়ে আনতে নির্যাতিতাদেরই আইনজীবী করে তুলবে এই সংস্থা]
সরকারি স্কুলে সহকারী পদে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ভিরমানি। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ৯০ নম্বরের, সেখানে ভিরামনি পেয়েছিলেন ৮৯। নিজের এক নম্বর আদায় করে নিয়ে সফল পরীক্ষার্থীদের তালিকায় স্থান করে নিলেন ভিরমানি। আর সবই হল বাংলার সৌজন্যেই।
[সবথেকে লম্বা দাঁতের মালিক, গিনেস বুকে নাম এই ভারতীয় যুবকের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.