সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকা যেভাবে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করেছিল, ঠিক একইভাবে পহেলগাঁও হামলার বদলা নিয়েছে ভারত। দিল্লির একটি বেসরকারি কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটাই বললেন দেশের উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসা করে তিনি জানান, এই অভিযানের মাধ্যমে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নতুন এক ‘মানদণ্ড’ সৃষ্টি করেছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার টুইন টাওয়ারে আছড়ে পড়ে দু’টি যাত্রীবাহী বিমান।পেন্টাগনের গায়েও আছড়ে পড়ে একটি বিমান। আল কায়দার পাঠানো আত্মঘাতী জঙ্গিদের ওই হামলার পর ‘মিশন আফগানিস্তান’ শুরু করে মার্কিন ফৌজ। জানা যায়, আমেরিকার বুকে এই সন্ত্রাসী হামলার মূল ষড়যন্ত্রী ছিল লাদেন। অবশেষে ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে এক বাংলোয় মার্কিন কমান্ডো বাহিনীর ‘টিম সিক্স’-এর অভিযানে মৃত্যু হয়েছিল তার। সেই অপারেশনের নামই ছিল ‘নেপচুন স্পিয়ার’।
লাদেন নিকেশের সেই প্রসঙ্গ টেনে ধনকড় বলেন, “ ৯/১১ হামলার মূল ষড়যন্ত্রীকে মার্কিন সেনা যেভাবে খতম করেছে, ঠিক সেই ভাবেই ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বুকে জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করে পহেলগাঁওহামলার বদলা নিয়েছে। তিনি বলেন, “এটা ভারতের কর্তব্য ছিল এবং গোটা বিশ্ব সেটি দেখেছে।”এরপরই তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মোদি যে বার্তা দিয়েছেন তা অভূতপূর্ব। গোটা বিশ্ব সেটা বুঝতে পেরেছে।”
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পর গত ৬-৭ মে পাকিস্তানে জঙ্গিদের আঁতুড়ঘরে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। ২৩ মিনিটের এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। মৃত্যু হয় শতাধিক জঙ্গির। তবে সন্ত্রাসের বুকে আঘাত হানতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে পাকিস্তান। পালটা হামলা চালানোর চেষ্টা হয় ভারতের উপর। যদিও ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই হামলা রুখে দেওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানের বায়ুসেনা ঘাঁটি-সহ অন্তত ১১টি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে বুঝিয়ে দেয় বাড়াবাড়ি করলে ফল ভালো হবে না। এরপরই পাকিস্তানের তরফে আসে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব। ভারত সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.