ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ”বিচারব্যবস্থা সংবিধানের ১৪২ ধারাকে পরমাণু মিসাইলের মতো ব্যবহার করছে।” উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের এহেন মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। তাঁর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট যেভাবে আইনসভায় পাশ হওয়া বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছে, সেটা করা যায় না। আর এই পরিস্থিতিতেই তিনি উল্লেখ করেছেন সংবিধানের ১৪২ ধারার। জেনে নেওয়া যাক কী এই ১৪২ ধারা।
এই ধারায় বলা আছে, সম্পূর্ণ সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট চাইলে আইনের বেড়াজাল টপকে নির্দেশিকা জারি করতে পারে। একে সুপ্রিম কোর্টের ‘পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা’ হিসেবে ধরা হয়। এই ধারায় আরও বলা আছে, শীর্ষ আদালতের ক্ষমতা রয়েছে যে কোনও ব্যক্তিকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার, কোনও নথি আদালতে পেশ করার বা আদালত অবমাননার জন্য শাস্তি প্রদানের নির্দেশ দেওয়ার।
আর এই ধারার প্রয়োগ নিয়েই মন্তব্য করেছেন জগদীপ ধনকড়। উপরাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতিকে ডেডলাইন বেঁধে দেওয়াটা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তাঁর প্রশ্ন, “কোন পথে এগোচ্ছে আমাদের দেশ। এ দেশে হচ্ছেটা কী? আমরা গণতন্ত্রের সঙ্গে কোনওদিন আপস করিনি। আজকের দিনটা দেখার জন্য তো এত সংগ্রাম করিনি। এখন দেখা যাচ্ছে, ভারতের রাষ্ট্রপতিকেও একটা বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। এটা তো আর সামান্য কিছু নিয়ে মতামত দেওয়া নয়।”
তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন রাজ্যসভার সদস্য প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বাল। তাঁর কথায়, ”আমি ওঁকে (ধনখড়কে) অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আপনি যে বলছেন ১৪২ ধারাকে মিসাইলের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে, এটা আপনি বলতে পারেন? ১৪২ ধারা সুপ্রিম কোর্টকে যে শক্তি দিয়েছে তা সংবিধানই দিয়েছে। কোনও সরকার নয়, সংবিধানই পারে সম্পূর্ণ ন্যায় দিতে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.