সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা। তাঁর একের পর এক ভিডিও সামনে আসতেই নতুন চাঞ্চল্য তৈরি হচ্ছে। এবার প্রকাশ্যে এসেছে পাক হাই কমিশনের ইফতার পার্টির একটি ভিডিও। যেখানে এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁকে। উল্লেখ্য, এই দানিশের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’ই এখন পুলিশের নজরে। ওই পাক আধিকারিকের সঙ্গে কী ভাবে যোগাযোগ হয়েছিল জ্যোতির, তাঁকেই কি গোপন তথ্য পাচার করতেন, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পাক হাই কমিশনের থেকে ‘বিশেষ আমন্ত্রণ’ পেয়েছেন, সেকথা নিজেই ইউটিউব চ্যানেলে ঘোষণা দেন জ্য়োতি। জানা গিয়েছে, গত বছর নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাই কমিশনের আয়োজন করা ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন সুন্দরী ইউটিউবার। যে ভিডিও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে তা দেখে বোঝা যাচ্ছে ওই পার্টির আগেই দানিশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা হয়েছে জ্যোতির। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, পাক হাই কমিশনের পার্টিতে জ্যোতিকে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন দানিশই। পালটা জ্যোতিকে বলতে শোনা যায়, আয়োজন দেখে তিনি খুব খুশি। ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ভারতীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন জ্যোতি। তিনি পাকিস্তানে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
এদিকে জানা গিয়েছে, গত বছর পুরীর জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনে জ্যোতিকে সাহায্য করেছিল স্থানীয় এক ইউটিউবার। ওই ইউটিবারের সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রীর পুলিশ সুপার ভিনিত আগারওয়াল বলেন, “গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করেন জ্যোতি। তাঁকে সাহায্য করেছিল স্থানীয় এক ইউটিউবার। তাঁরা কোনারক মন্দিরেও গিয়েছিলেন। পুলিশ সেই সময়ের ভিডিওগুলি খতিয়ে দেখছে।” সূত্রের খবর, ওই সুন্দরী ইউটিউবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, জ্যোতির সঙ্গে তাঁর শুধু বন্ধুত্বের সম্পর্কই ছিল। যদিও পুলিশ জানতে পেরেছে জ্যোতির সঙ্গে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন ওই ইউটিউবার। আর এতেই রহস্য তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যখন অপারেশন সিঁদুর চলছে, সেই সময় ভারতের একের পর এক গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাচার করছিলেন জ্যোতি। এমনটাই অভিযোগ। এমনকী পেশায় ট্রাভেল কনটেন্ট ক্রিয়েটার এই মহিলা অপারেশন সিঁদুরের আগে তিন বার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০২৩ সালে ভারতে নিযুক্ত পাক দূতাবাস কর্মী এহসান উর রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে জ্যোতির আলাপ হয়। সেই সময় থেকেই পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি শুরু। ট্রাভেল ভিডিও বানানোর নামে পাকিস্তান গিয়ে জ্যোতি একাধিক আইএসআই এজেন্ট এবং কর্তার সঙ্গে দেখা করেছেন বলেও অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে শাকির এবং রান শাহবাজ নামের দুই পাক এজেন্টের সঙ্গে জ্যোতির নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। গত তিন বছরে হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবে বড় চর নেটওয়ার্ক তৈরি করেন জ্যোতি, এমনটাও দাবি গোয়েন্দাদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.