সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে পৌঁছাল মার্কিন ‘এয়ারফোর্স ওয়ান’-এর ধাঁচে তৈরি ভিভিআইপি বিমান ‘এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান’। রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপিদের সুরক্ষিত যাত্রার উদ্দেশে গত আগস্ট মাসে বিমানটি আনতে আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছিল ভারতীয় প্রতিনিধিদল। ওই দলে ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনা, এয়ার ইন্ডিয়া, নিরাপত্তা বাহিনী ও কেন্দ্রের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির নিরাপদ সফরের জন্য এই বিশেষ বিমানগুলি তৈরি করছে মার্কিন সংস্থা বোয়িং। দুটি ‘বোয়িং ৭৭৭-ইআর’ মডেলের বিমানের প্রথমটি এদিন বিকেলে নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানগুলি বিশেষভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুর জন্য তৈরি করা হয়েছে। গতমাসেই বিমানটির যাবতীয় পরীক্ষানিরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে যায়। ভেতরের সাজসজ্জার কাজও শেষ হয়ে যায়। তারপরই একটি এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান(এআই ওয়ান) বিমানকে ছাড়পত্র দেয় মার্কিন সংস্থা ফেডেরাল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)। এর অর্থ, বিমানটি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।
#WATCH: VVIP aircraft Air India One that will be used for President, Vice President & PM arrives at Delhi International Airport from US.
It is equipped with advance communication system which allows availing audio & video communication function at mid-air without being hacked. pic.twitter.com/4MtXHi8F9O
— ANI (@ANI) October 1, 2020
নিরাপত্তার চাদরে মোড়া বিমান দু’টি সহজেই মিসাইল হানা এড়াতে সক্ষম। রয়েছে সেলফ প্রোটেকশন স্যুট। বিমানগুলিতে রয়েছে সেলফ প্রোটেকশন স্যুটস (SPS). এয়ারক্রাফ্ট ইনফ্রারেড কাউন্টার মেসার্স, অত্যাধুনিক ডিফেন্সিভ ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট এবং কাউন্টার মেসার্স ডিসপেন্সিং সিস্টেম৷ যা যে কোনও মিসাইল হানা থেকে এই বিমানগুলিকে রক্ষা করবে৷ অনেকটা মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য তৈরি ‘এয়ারফোর্স ওয়ান’-এর ধাঁচেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য এই বিশেষ বিমানগুলি তৈরি হয়েছে৷ এতে রয়েছে অত্যাধুনিক ও সুরক্ষিত যোগাযোগ ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে মাঝ-আকাশ থেকেও নিরবিচ্ছিন্ন অডিও ও ভিডিও যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব। পাশাপাশি, এই বিমানের নেটওয়ার্ক হ্যাক করা সম্ভব নয় বলেই জানা গিয়েছে। এই বিমান থেকে অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে গোটা দুনিয়ার সঙ্গে কথা বলা যাবে। চালকের আসনে থাকবেন বায়ুসেনার পাইলট। বিমানের ডানায় লাগানো থাকে ফ্লেয়ার্স, এর থেকে বেরনো তাপ, যে কোনও মিসাইলকে বিপথগামী করে দিতে পারে। এধরনের বিমানে থাকে মিরর বল সিস্টেম। যা অকেজো করে ইনফ্রারেড সিগনালকে। দুটি বিমানের জন্য খরচ হয়েছে ৮ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.