ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নৃশংসতার নজির যোগীরাজ্যে। এবার ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর পেট কেটে গর্ভস্থ সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানার চেষ্টার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বরেলির নেকপুরের বাসিন্দা ওই বধূ। স্বামী পান্নালাল ও পাঁচ মেয়েকে নিয়ে সংসার তাঁর। জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। পান্নালাল চেয়েছিল পাঁচ মেয়ের পর ষষ্ঠসন্তান যেন পুত্র হয়। কিন্তু লিঙ্ক নির্ধারণ তো আইনত অপরাধ। তাই জন্মের আগে সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানা কার্যত অসম্ভব। কী উপায়? ভেবেচিন্তে নৃশংসতার পথ বেছে নেয় পান্নালাল। শনিবার সন্ধেয় ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর পেট কেটে ফেলে ওই যুবক! যন্ত্রণায় চিৎকার করতে শুরু করে ওই বধূ। তড়িঘড়ি ছুটে যায় প্রতিবেশীরা। তারাই বধূকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। ইতিমধ্যেই বধূর বাপের বাড়ির তরফে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শুধুই লিঙ্গ জানার জন্য ৭ সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর উপর এমন অত্যাচার, নাকি পিছনে লুকিয়ে অন্য কারণ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বধূর বাপের বাড়ির সদস্যদের কথায়, পরপর পাঁচ কন্যাসন্তান হওয়ায় স্ত্রীর উপর রেগে ছিল পান্নালাল। প্রায়শই ওই বধূর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত সে। ষষ্ঠবার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হতেই তার মনে আশঙ্কা তৈরি হয়, ফের যদি মেয়ে হয়! যার জেরে স্ত্রীর উপর অত্যাচারও বাড়তে থাকে। সেইসঙ্গে গর্ভস্ত সন্তান ছেলে কি না, তা জানতে ব্যকুল হতে উঠেছিল পান্নালাল। সেই কারণেই এই মর্মান্তিক পরিণতি বধূর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.