সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একরত্তি শিশুকে দেখে প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন খোদ ডাক্তারও। অনবরত কেঁদে চলেছিল শিশুটি। আর চোখ থেকে জল নয়, তার বদলে বেরিয়ে আসছিল টাটকা রক্ত। লাল রক্তে ভেসে গিয়েছিল শিশুর সারা মুখ। এই রক্তকান্না দেখেই চোখ কপালে উঠেছিল হাসপাতালের সকলের।
কিন্তু কেন হায়দরাবাদের আহানা আফজলের এমন ভয়ঙ্কর অবস্থা? বিশেষজ্ঞদের মতে, হেমাটিড্রোসিস নামে এক বিরল রোগে আক্রান্ত তিন বছরের শিশুটি। এই রোগটি সম্পর্কে খুব একটা বেশি সাধারণ মানুষ জানেন না। কারণ খুব কম মানুষই এতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আর যাঁরা এই রোগে আক্রান্ত হন, তাঁদের কোনও আঘাত ছাড়াই শরীরের নানা অংশ দিয়ে এভাবেই রক্ত বের হতে থাকে। সাধারণত নাক, চোখ, মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। আহানার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
[প্রথম কোন ভাষায় ‘বন্দে মাতরম’ লিখেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র, প্রশ্ন হাই কোর্টের]
যে বয়সে ঠিক করে কথাও বলতে পারত না, সেই বয়সেই প্রথম আহানার এই রোগ ধরা পড়ে। প্রথমে তার নাক থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে। আহানার বাবা-মা ভেবেছিলেন খুব বেশি জ্বরের কারণেই দেড় বছরের মেয়ের নাক থেকে রক্ত বের হচ্ছে। স্থানীয় চিকিৎসকও রোগটি ধরতে পারেননি। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগের প্রভাবও বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে ছোট্ট আহানার নাক, মুখ থেকেও রক্ত বের হতে শুরু করে। বড় ডাক্তারের শরণাপন্ন হন আহানার বাবা মহম্মদ আফজল ও মা নাজিমা বেগম। তখনই ধরা পড়ে এই বিরল রোগ।
বিরল হলেও সাধারণত প্রাণঘাতী নয় হেমাটিড্রোসিস। কিন্তু রোগীর খুব বেশি মানসিক চাপ হলে নাক, মুখ, চোখ থেকে রক্ত বের হতে থাকে। ফলে শরীরে রক্তের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। যার জন্য অনেক সময় বাইরের থেকে শরীরে রক্ত দিতে হয়। আরও কিছু নিরাময়ের ব্যবস্থা অবশ্য রয়েছে। তবে তা যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার। সামান্য আয় মহম্মদের। তাতে মেয়ের এই বিরল রোগের চিকিৎসা কীভাবে করবেন তা নিয়ে চিন্তিত হায়দরাবাদের বাসিন্দা।
[চিনের উদ্বেগ বাড়িয়ে বঙ্গোপসাগরে বিশাল ভারতীয় নৌবহর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.