সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে, এমন ক্ষেত্রেই অধিকাংশ বিচ্ছেদ হয়ে থাকে। বিবাহবিচ্ছেদের একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। বৈবাহিক বিরোধ থেকে উদ্ভূত একটি মামলার আবেদনের শুনানি চলছিল আদালতে। সেই সময় মামলার এক আইনজীবী জানান, প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন যুগল। এরপরই কড়া প্রতিক্রিয়া দেন বিচারপতি বিআর গাভাই এবং সঞ্জয় করোলের বেঞ্চ। মন্তব্য করেন, অধিকাংশ বিবাহবিচ্ছেদ প্রেমের বিবাহ থেকে উদ্ভূত।
এই মামলা আদালত মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দিয়েছিল। যদিও স্বামী বিরোধিতা করেন। পাশাপাশি আদালত জানায়, সাম্প্রতিক একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সম্মতি ছাড়াই বিবাহবিচ্ছেদ মঞ্জুর করা যেতে পারে। এরপরই মধ্যস্থতার আহ্বান জানায় বিচারপতিদের বেঞ্চ। উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিলে সুপ্রিম কোর্ট। এমনিতে বিবাহ বিচ্ছেদ আইন অনুযায়ী ছয় মাস বাধ্যতামূলক অপেক্ষার নিয়ম রয়েছে। যদিও শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ক্ষেত্রবিশেষে সংবিধানের ১৪২ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে তা বাতিল করা যেতে পারে। যুগলের পারস্পারিক সম্মতিতে তা প্রযোজ্য হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, “যে ক্ষেত্রে বিচ্ছেদ আদৌ রোখা যাবে না, সেখানে ছয় মাস অপেক্ষা করা অর্থহীন।” বিচারপতি কিষান কৌল, সঞ্জীব খান্না, এএস ওকা, বিক্রম নাথ এবং জেকে মহেশ্বরীর সাংবিধানিক বেঞ্চের যুক্তি ছিল, “সম্পর্কের অবস্থা বিচার করে দু’পক্ষের সম্মতিতে ছয় মাস অপেক্ষা না করেই সম্পর্ক ভেঙে দেওয়া যেতে পারে।” তাঁরা জানান, হিন্দু বিবাহ আইনের অধীনে নির্ধারিত অপেক্ষার সময়সীমা বাতিল করা যেতে পারে। এদিন প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য শোনা গেল দুই বিচারপতির মুখে। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, অধিকাংশ বিবাহ বিচ্ছেদের সূত্রপাত প্রেমের বিবাহ থেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.