সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনারের পদে সুদীপ জৈনকেই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। ২০১৯ নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সুদীপ জৈনের অপসারণ চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু রাজ্যের শাসক শিবিরের সেই দাবি খারিজ করে দিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, তাঁর ‘সততা’ এবং ‘স্বচ্ছতার’ উপর কমিশনের পূর্ণ আস্থা আছে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেকথাই জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, সুদীপ জৈনের অপসারণ চেয়ে কমিশনকে চিঠি দিচ্ছে দল। শাসকদলের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় বলেন, “আট দফার নির্বাচন শুনেই প্রতিবাদ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে আমাদের প্রতিবাদ চলছে। আমাদের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের অপসারণ দাবি করেছেন। এই সুদীপ আগেও দায়িত্বে ছিলেন ২০১৯-এ। ওঁর পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আগেও আমরা দেখেছি। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে এই সুদীপই ভুল রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন, যায় জেরে নির্বাচনের দু’দিন আগে প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দেয় কমিশন (Election Commission)। অথচ, বিজেপি ওই দু’দিনও প্রচার চালিয়ে যেতে পেরেছে। কমিশন সেই মূর্তি ভাঙা নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অমিত শাহের বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ করেনি।”
সৌগতর অভিযোগ ছিল, “সুদীপ জৈন (Sudip Jain) এর আগে একাধিক পক্ষপাতমূলক কাজ করেছেন। তাই ও দায়িত্বে থাকলে রাজ্যে ফেয়ার ইলেকশন সম্ভব নয়। তাই আমরা ওঁর অপসারণ চেয়েছি।” তৃণমূলের সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কমিশন জানিয়ে দিল, সুদীপ জৈনই রাজ্যের দায়িত্বে থাকবেন। তাঁর সততা নিয়ে কোনও সংশয় তাঁদের নেই। যার অর্থ, তৃণমূলের আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন বকলমে পরিচালনা করবেন সুদীপ জৈনই। প্রসঙ্গত, তাঁর নেতৃত্বেই রাজ্যের ভোটের যাবতীয় প্রস্তুতি সেরেছে কমিশন। তাই সুদীপের অপসারণের দাবি যে মানা হবে না, সেটা আগে থেকেই আন্দাজ করা হচ্ছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.