ঘরে বসে মাস্ক তৈরি করছেন সাংসদ
নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মরিয়া সরকার। তাই বাইরে বেরোলেই মাস্ক (mask) পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোনও কোনও রাজ্যে মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোলে জরিমানাও করা হচ্ছে। রয়েছে জেলে পাঠানোর আইনও। রবিবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পশ্চিমবঙ্গেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে এর চাহিদা আরও বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের হাতে মাস্ক তুলে দেওয়ার জন্য গত কয়েকদিন ধরেই অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা। হুগলির সাংসদ ও রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই ৫০ হাজার মাস্ক তৈরি করে মানুষের হাতে তুলেও দেওয়া হয়েছে।
মণ্ডল থেকে জেলা ও রাজ্যস্তরের প্রায় সমস্ত সদস্যই গত কয়েকদিন ধরে মাস্ক তৈরির কাজে লেগে রয়েছেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গা প্রতিদিন সাধারণ মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করছেন তারা। রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা দুস্থ মানুষের বাড়িতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই মাস্কও বিলি করছেন। আর এই কাজে নিজেই উদাহরণ হয়ে উঠেছেন হুগলির সাংসদ লকেট। ঘরবন্দি অবস্থায় নিজের সাংসদ এলাকার বিজেপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করার পাশাপাশি গোটা রাজ্যের খবরও রাখছেন প্রতিমুহূর্তে।
সোমবারও ঘরবন্দি অবস্থায় সূঁচ ও সুতো দিয়ে সাদা কাপড়ের মাস্ক তৈরি করতে দেখা যায় তাঁকে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ বর্তমানে কোভিড-১৯ (COVID-19)-এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই সময়ে সমস্ত ক্ষেত্রের মহিলাদের একজোট হয়ে এই যুদ্ধে দেশকে সাহায্য করা উচিত। অতীতে ভারত যখনই কোনও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে তখন মহিলারাই প্রথম দেশকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এসেছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা প্রশংসনীয় কাজ করছেন। আমি সমাজের প্রতিটি মহিলার কাছে অনুরোধ করব, যদি সম্ভব হয় তাহলে নিজেদের কাজের ফাঁকে মাস্ক তৈরি করে সাধারণ মানুষকে বিলি করুন। ভয়াবহ এই বিপর্যয়ের সময়ে এটা খুবই কাজে দেবে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.