সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বিরাট অংকের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তবে, কোথায়, কোন খাতে, কত টাকা কীভাবে খরচ হবে, সে সংক্রান্ত কোনও বিস্তারিত তথ্য তিনি দেননি। প্যাকেজের বিস্তারিত পাওয়া যাবে আজ অর্থাৎ বুধবার বিকেল চারটেয়। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) সাংবাদিক বৈঠক করে খুঁটিনাটি বলবেন।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, করোনা নামক মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে ২০২০ সালে মোট ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হবে। যা কমবেশি ভারতের মোট জিডিপির ১০ শতাংশ। তিনি এটাও বলেছেন, ইতিমধ্যেই যে প্যাকেজগুলি ঘোষিত হয়েছে সেগুলিও এই ২০ লক্ষ কোটি টাকার মধ্যেই। উল্লেখ্য, এর আগে সরকার গরিব এবং প্রান্তিক মানুষের জন্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি ঘোষণা করেছে। রিজার্ভ ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড থেকে শুরু করে একাধিক আর্থিক সংস্কারের লক্ষ্যে ব্যয় করেছে ৬.৫ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক প্যাকেজের ৮.২ লক্ষ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই খরচ হয়ে গিয়েছে। আজ বিকেল চারটেয় বাকি ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকার বরাদ্দ ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এবার দেখার কারা কারা এর সুবিধা পান।
লকডাউনে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। কিন্তু সেভাবে সরকার তাঁদের জন্য এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের আর্থিক সাহায্য করা হতে পারে। সাহায্য পেতে পারেন অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা। হকার, দিন-মজুরদের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা হতে পারে। বাড়তে পারে জনধন অ্যাকাউন্টে মহিলাদের অনুদানের পরিমাণ। তবে, প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়ছেন আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর এবং আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে গরিব, নিম্নবিত্তদের তুলনায়, শিল্পের পরিকাঠামো, আধুনিক প্রযুক্তি, বড় শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বেশি বিনিয়োগ হতে পারে। আলাদা করে আর্থিক প্যাকেজ পেতে পারে পর্যটন শিল্প। প্রধানমন্ত্রী নিজের ভাষণেই উল্লেখ করেছে মধ্যবিত্ত এবং করদাতারা সবসময় উপেক্ষিত থাকছেন। তাঁরা এবারে কিছুটা সুবিধা পেতে পারেন। নতুন প্যাকেজে ছোট ব্যাবসায়ীদের ঋণের সুবিধা বাড়ানো হবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.