এই বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং৷ তাঁর বক্তব্য, ‘ভণ্ড সাধুর তালিকায় বাবা রামদেবের না দেখে আমি দুঃখ পেয়েছি৷’ মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, গেরুয়া বস্ত্র পরে নকল পণ্য বিক্রি করলে বুঝি সব পাপ মাফ করে দেওয়া হবে? জাল ও নিম্নমানের পণ্যকে আসল বলে বিক্রি করে গোটা দেশকে রামদেব বাবা ঠকাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি৷ তাঁর প্রশ্ন, ‘মনু স্মৃতি’তে কি লেখা রয়েছে যে গেরুয়া বসন পরে ব্যবসায় নামলে সবরকম দুষ্কর্ম ঢাকা পড়ে যাবে?
सम्माननीय अखाड़ा परिषद ने इस सूचि में बाबा रामदेव का नाम नहीं रखा। निराशा हुई। पूरे देश को ठग रहा है। नक़ली को असली बता कर बेंच रहा है। pic.twitter.com/kmxzEUrVXN
— digvijaya singh (@digvijaya_28) September 11, 2017
বস্তুত বাবা রামদেবের সংস্থা ‘পতঞ্জলি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ কিন্তু কম নেই৷ পণ্যে ভেজাল মেশানো থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপনে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি-এরকম প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরে৷ কিন্তু প্রত্যেকবারই যেন কোনও এক অদৃশ্য জাদু মন্ত্রে প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যান বাবা রামদেব৷ তাঁর পতঞ্জলি আশ্রমের ভিতরে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা৷ সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ৷ রয়েছে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী৷ দুরন্ত বিপণন কৌশলে পতঞ্জলির পণ্য কেনা ও নিজের দেশকে ভালবাসা-যেন সমার্থক করে তুলতে পেরেছেন রামদেব৷ অথচ, সেই বাবা রামদেবই অসমে বন্যার্তদের জন্য মেয়াদ উত্তীর্ণ ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ এখন দেখার বিষয়, এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্র কি রামদেবের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.