ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকার ও বিচারব্যবস্থার মধ্যে চলতে থাকা ঠান্ডা লড়াইয়ের মাঝে ফের দেশের দ্বিতীয় স্তম্ভকে কাঠগড়ায় তুললেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। বিচারপতি যশবন্ত ভর্মার বাড়িতে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বিচারবিভাগের বিরুদ্ধে গড়িমশির অভিযোগ তুললেন তিনি। ধনকড় বলেন, ‘মনে হচ্ছে ওই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোনও এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়নি।’ পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, ‘এই ধরনের ঘটনা কী দেশের বিচার ব্যবস্থাকে কালিমালিপ্ত করে না?’
সোমবার এক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জগদীপ ধনকড় বলেন, “বিচাপতি যশবন্ত ভর্মার বিরুদ্ধে ওঠা মামলার দ্রুত তদন্ত হওয়া উচিত। একজন বিচারপতির বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধার হল। কোথা থেকে টাকা এল দেশের মানুষ তা জানতে চায়। অথচ মনে হচ্ছে এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা করার আগে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়। আমার মনে হয় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে।” শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় সাক্ষীদের কাছ থেকে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয় তিন বিচারপতির অভ্যন্তরীণ কমিটির নির্দেশে। এই ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন ধনকড়।
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ দিল্লি হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত সিনহার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের পর উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ নগদ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে। মামলার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গড়ে দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। এরপর বিচারপতি ভার্মাকে সরানো হয় এলাহাবাদ হাই কোর্টে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই মামলা কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি। এই ইস্যুতেই এবার সুর চড়ালেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ইস্যুতে মতপার্থক্যের জেরে মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে সরকার ও বিচারবিভাগ। কলেজিয়াম ব্যবস্থার পাশাপাশি সংসদে পাশ হওয়া আইনে সুপ্রিম হস্তক্ষেপ তো কখনও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের জন্য বিলে সই করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া। লাগাতার এই ঘটনায় তৈরি হয়েছে সরকার ও বিচার ব্যবস্থার মধ্যে সংঘাতের সিঁদুরে মেঘ। এই আবহেই এবার সুর চড়ালেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.