সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রক্ষকই ভক্ষক! মা ও নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল সাত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। যদিও ধর্ষকের সংখ্যা কেবল সাত নয়, মোট ১৮ জন মিলে যৌন নিগ্রহ চালিয়েছে বলে অভিযোগ। তাও একবার-দু’বার নয়। টানা দু’মাস ধরে তাঁদের উপর চলেছে নিগ্রহ। কখনও নিগৃহীতা মা-মেয়ের বাড়ি তো কখনও অন্য ঠিকানায়। হরিয়ানায় এই অত্যাচারের শুরু জুলাই মাস থেকে। অবশেষে বুধবার পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। মা-মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সাত পুলিশ কর্মী, গ্রামের মোড়ল ও প্রাক্তন মোড়ল-সহ মোট ১৮ জনকে আটক করেছে হরিয়ানা পুলিশ।
[পুরভোটের আগেই রক্তাক্ত উপত্যকা, জঙ্গিদের গুলিতে খুন দুই রাজনৈতিক কর্মী]
ধর্ষকের সংখ্যা ১৮ হলেও মূল অভিযোগ এএসআই সমশের সিং-এর বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীদের দাবি, বাড়িতেই একাধিকবার মায়ের সামনে মেয়ে ও মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষণ করেছে সমশের সিং। ঘটনার সময় বাড়ির বাইরে পাহারায় থেকে এএসআইকে সাহায্য করেছে বাকি ১৭ জন অভিযুক্ত। পরে তারাও পালা করে মা ও মেয়েকে ধর্ষণ করে। যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন এএসআই সমশের সিং। তার দাবি, নাবালিকার বাবা একজন আইনজীবী। তাঁর নির্দেশেই মা-মেয়ে মিলে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। উদ্দেশ্য একটাই, সমশের সিং ও বাকীদের বদনাম করা। এএসআই সমশের সিং ছাড়া বাকি সাত অভিযুক্ত পুলিশকর্মী হল রোশন লাল, ধনপতি, অবসরপ্রাপ্ত এএসআই বাজির সিং, হেড কনস্টেবল রণদীপ এবং কনস্টেবল দিলাবর ও ইশাম সিং। বাকি ১১ অভিযুক্তদের নাম বীরবল, সুরজিৎ, মেহর সিং, বলবিন্দর, রাজেশ, চন্দরভন, রামধারী, দেবেন্দর, চন্দরভন সিং, সনু, গুলাব সিং।
জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে বাবার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিল ওই নাবালিকা। আইনজীবী বাবার জেলও হয়েছিল। এর কিছুদিন পরে অবশ্য নাবালিকা পুলিশকে একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানায়, বাবার বিরুদ্ধে আনা তার অভিযোগ সত্যি নয়। এরপরই মুক্তি পান তার বাবা। সেই সময় গ্রামের বেশ কয়েকজন মাতব্বর তার বাবার পাশে দাঁড়াতে তাঁকে ও তাঁর মাকে বাধা দিয়েছিল বলেও পুলিশকে জানায় ওই নাবালিকা।
[ গান্ধীজয়ন্তীতে জিন্নার ছবি প্রদর্শনী, ফের বিতর্কে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.