সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটা ডেস্ক: কুসংস্কার মানুষকে দিয়ে কী নৃশংস কাণ্ড ঘটাতে পারে, ফের মিলল তার প্রমাণ। জোর করে গৃহূবধূকে মানুষের হাড়ের গুঁড়ো খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।
ঘটনা পুণের (Pune)। বুধবার স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির মোট সাত সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেন ওই বধূ। তাঁর অভিযোগ, সন্তান প্রাপ্তির জন্য স্থানীয় এক তান্ত্রিকের কথাতেই তাঁকে জোর করে মানুষের হাড়ের গুঁড়ো খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। পুণে সিটি পুলিশের তরফে ডেপুটি কমিশনার সুহেল শর্মা জানান, “ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ এ, ৩২৩, ৫০৪, ৫০৬ ধারা এবং কুসংস্কার (Superstitions) বিরোধী ৩ ধারায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।”
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবর অনুযায়ী, আরও একটি অভিযোগে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন ওই বধূ। তাঁর অভিযোগ, ২০১৯ সালে বিয়ের পর থেকেই পণ চেয়ে তাঁর উপর অত্যাচার করা হত। সোনা, রুপোর গয়নার পাশাপাশি চাওয়া হত নগদ টাকাও। আর সন্তান না জন্মানোয় সেই অত্যাচারের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। লাগাতার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
নির্যাতিতা জানান, অন্ধবিশ্বাসে ভর করে একাধিক অমাবস্যার রাতে তাঁকে দিয়ে নানা অমানুষিক কাজ করানো হয়েছে। এমনই এক রাতে তাঁকে কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে মানুষের হাড়ের গুঁড়ো খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। ভিডিও কলে ওই তান্ত্রিক যা নির্দেশ দিত, তেমনটাই মেনে চলত নির্যাতিতার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কালো জাদুর মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে বলে বিশ্বাস করত তারা। সুহেল শর্মা জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে। পাশাপাশি যে কবরস্থানে ওই নির্যাতিতাকে নিয়ে গিয়ে এধরনের কাজ করা হত, সেই জায়গাটিতেও তল্লাশি চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা পুলিশের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.