প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ মণিপুরে শান্তি ফেরাতে চুক্তি করেছে কুকি-মেতেইরা। তার এক মাসের মধ্যেই ফের রক্ত ঝরল মণিপুরে। রবিবার গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারালেন এক মহিলা। গুরুতর জখম হয়েছে তাঁর ১২ বছরের কন্যাও। তার পর থেকেই গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। কোন তরফ গুলির লড়াই শুরু করেছে, সেই নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করছে কুকি-মেতেইরা। ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ গুলিবৃষ্টি শুরু হয় কাংপোকপি জেলার নাখুজাং গ্রামে। স্থানীয়দের দাবি, ড্রোনের মাধ্যমে একটি বোমা ফেলা হয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে যখন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি করছেন আমজনতা, সেই সময়ে শুরু হয় গুলি। পালটা গুলি চালান গ্রামের স্থানীয় নিরাপত্তারক্ষীরা। দুপক্ষের গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে মৃত্যু হয় নাগংবাম সুরবালা নামে ৩১ বছর বয়সি এক মহিলার। নিজের ১২ বছরের কন্যার চোখের সামনে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
সুরবালাকে উদ্ধার করে ৪৫ কিলোমিটার দূরে ইম্ফলের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুলিবৃষ্টিতে গুরুতর আহত হয়েছে সুরবালার কন্যাও। একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কুকি-মেতেই সংঘাত। দুই তরফেই একাধিক গুলিবৃষ্টির ভিডিও ছড়ানো হয়েছে নেটদুনিয়ায়। মেতেইদের দাবি, কুকি জঙ্গিরা প্রথমে গুলি চালিয়েছে। পালটা কুকিদের দাবি, কুকি গ্রাম লক্ষ্য করে মেতেইরা আক্রমণ শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, মণিপুরে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে আগস্ট মাসেই বড় সাফল্য পেয়েছিল সেরাজ্যের বিজেপি সরকার। জিরিবাম জেলায় বিবাদমান দুই গোষ্ঠী কুকি এবং মেতেইদের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দুই পক্ষই অস্ত্র ছেড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে একে অপরকে সাহায্য করতে সম্মত হয়েছিল বলে মণিপুর সরকারের দাবি। তবে এক জেলার এই শান্তিপ্রক্রিয়া অন্য জেলায় কোনও দাগ কাটতে পারেনি। কাংপোকপি জেলায় আবারও প্রাণহানির ঘটনাই তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.