ছবিটি প্রতীকী
সুব্রত বিশ্বাস: পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে চলেছে বিশেষ ট্রেন। এবার সেই ট্রেনে ঘরে ফেরার পথে সন্তান প্রসব করলেন বিহারের এক বধূ। লকডাউনের চরম ভোগান্তির মাঝেও ভূমিষ্ঠ শিশুপুত্রকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানালেন ট্রেনযাত্রী শ্রমিকরা। শনিবার ভোররাতের আগ্রা ফোর্ট স্টেশন এই ঘটনার সাক্ষী থাকল।
মাঝরাতে শ্রমিকপত্নীর প্রসবযন্ত্রণা শুরু হয়। রাত ৪টে ৪৩ মিনিটে আগ্রা ফোর্ট কন্ট্রোলে খবর যায়। রেলের চিকিৎসক এস কে সিং ভোর সওয়া পাঁচটা নাগাদ সদলে হাজির হন স্টেশনে। মহিলা হাসপাতালে যেতে না চাওয়ায় কামরা ফাঁকা করে সেখানেই প্রসবের ব্যবস্থা করা হয়। নির্বিঘ্নে জন্ম হয় শিশুপুত্রের। আগ্রার পিআরও এস কে শ্রীবাস্তব জানান, গুজরাটের জামনগর থেকে বিহারের মুজফফরপুর যাচ্ছিল ট্রেনটি। ছাপড়ার মানহারপুরের বাসিন্দা সত্যেন্দ্র যাদবের স্ত্রী মমতা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। কন্ট্রোলের মাধ্যমে মেসেজ পেয়ে চিকিৎসকরা ট্রেনটিতে উপস্থিত হন। নির্বিঘ্নে সন্তান প্রসবের পর মা ও সন্তানকে ফিট সার্টিফিকেট দেন চিকিৎসকরা। এরপর দুধ, চা, বিস্কুট খাইয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে ট্রেনটিকে ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। ৬.০৮ মিনিটে ট্রেনটি যাত্রা করে গন্তব্যের দিকে।
করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে লকডাউনকে উপেক্ষা করে পৃথিবীর মুখ দেখার জন্য চিকিৎসকরা শিশুটির নাম রাখেন ‘জয়’। চিকিৎসক, আরপিএফ ও রেলকর্মীরা করতালির মাধ্যমে শিশু-সহ অন্য যাত্রীদের বিদায় জানান। ট্রেনের শ্রমিকরাও রেলকর্মীদের কাজের জন্য পাল্টা শুভেচ্ছা জানাতে করতালির সঙ্গে ‘জয় আগ্রা’ ধ্বনি দেন। একই দিনে জলন্ধর থেকে আম্বেদকর নগর যাওয়ার আরেকটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের মধ্যে সন্তান প্রসব করেন আম্বেদকর নগরের বাসিন্দা সুভদ্রা। তাঁর স্বামী দুর্গেশও ট্রেনে উপস্থিত ছিলেন। এক্ষেত্রেও প্রসবে সহযোগিতা করেন রেলকর্মীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.