প্রতীকি ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে লক্ষ মানুষের প্রাণ নিয়েছে করোনা। কিন্তু আরও অনেক প্রাণ নিচ্ছে স্রেফ এই মারণ ভাইরাসের আতঙ্ক। COVID-19-এ আক্রান্ত। শুধুমাত্র এই সন্দেহের বশেই একঘরে হতে হচ্ছে অনেকে। সমাজের চোখ রাঙানি সহ্য করতে হচ্ছে। এমনকী অনেকে হতাশা আর অবসাদে আত্মঘাতীও হয়েছেন। এবার এই সন্দেহের বশে অকালে প্রাণ হারালেন এক তরুণী।
ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। দশটি হাসপাতাল ঘুরেও ঠাঁই মেলেনি কোথাও। হায়দরাবাদে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল ২২ বছরের তরুণী রাফিয়া বেগমের। গত ২ এপ্রিল আগেই সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। তারপরই ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটে। গত ৮ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। কিন্তু তারপরই ব্যথা বাড়ে। রাফিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন তাঁর স্বামী। অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে শহরের অন্তত দশটি হাসপাতাল ঘোরেন তিনি। কিন্তু প্রত্যেকেই মুখ ফিরিয়ে নেয়। তরুণীর সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকায় আশঙ্কা বাড়ে। তিনি হয়তো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এই সন্দেহে কোনও হাসপাতাল তাঁকে ভরতি নিতে চায়নি। ৮ তারিখ সন্ধেয় মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃত্যুর পর তাঁর সোয়াব পাঠানো হয় করোনা পরীক্ষার জন্য। শুক্রবার রিপোর্টে জানা যায় তিনি করোনা নেগেটিভ। তা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তি, তাঁর ৯ দিনের সন্তান এবং বাড়ির বাকি সদস্যদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়। পেশায় বাইক মেরামতকারী স্বামীরও বিদেশে যাওয়ার কোনও ইতিহাস নেই। এমনকী কোনও করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শেও আসেননি তিনি। কিন্তু শুধুমাত্র সন্দেহের বশেই তরুণীকে প্রাণ হারাতে হল। ভোগান্তির শিকার হল পরিবার। মাকে হারাল ৯দিনের শিশু।
দিন কয়েক আগে একই ঘটনা ঘটেছিল দিল্লির এক হাসপাতালে। COVID-19 আক্রান্ত সন্দেহে ৩৫ বছরের এক রোগীকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়। তারপরই মৃত্যু হয় তাঁর। কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এবার মৃত্যু হল তরুণীর। এই দৃশ্যই বুঝিয়ে দিচ্ছে, শুধু আক্রান্তরাই উদ্বিগ্ন নন, পরোক্ষে করোনার বলি হচ্ছে সাধারণরাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.