সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবেশ দূষণই বলুন কিংবা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, সন্তানহীনতা আধুনিক শহুরে দম্পতিদের একটা বড় সমস্যা। বহু চেষ্টাতেও স্বাভাবিকভাবে সন্তানের জন্ম দিতে না পেরে, আইভিএফ বা সারোগেসির মতো পদ্ধতির আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকেই। তবে এবার এই ব্যাপারে আরও কয়েক কদম এগিয়ে গিয়েছেন পুণের এক দম্পতি। দাদু-ঠাকুমা হওয়ার জন্য এতটাই উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা যে, আইভিএফ পদ্ধতিতে মৃত ছেলের শুক্রাণুর সঙ্গে তাঁরই মাসির ডিম্বাণুর মিলন ঘটানো হল। পৃথিবীর আলো দেখল যমজ শিশু।
[অমানবিক! জমি বিবাদের জেরে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি সিপিএম সমর্থকদের]
সাল ২০১৩। উচ্চশিক্ষায় জন্য জার্মানিতে যান ওই দম্পতির একমাত্র ছেলে। বিদেশে গিয়ে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হন তিনি। কেমোথেরাপি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, নিয়মিত কেমোথেরাপি চললে, রোগীর যৌনজীবনে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে। পরবর্তীকালে সুস্থ হয়ে উঠলেও, স্বাভাবিকভাবে বাবা-মা হতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। সেকথা জানতেন ওই দম্পতির ছেলেও। তাই জার্মানিতে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর শুক্রাণু সংরক্ষণ করার জন্য চিকিৎসকদের অনুরোধ করেন তিনি। সেই অনুরোধ মেনে নেন চিকিৎসকরা। ওই ব্যক্তির শুক্রাণু সংরক্ষণ করে রাখা হয়। বছর তিনেক পর, ২০১৬ সালে মৃত্যু হয় তাঁর।
[বৃহত্তম ব্যাংক কেলেঙ্কারির নাটের গুরু, কে এই ‘হীরক রাজা’ নীরব মোদি?]
ছেলের মৃত্যুর পর, তাঁর সংরক্ষিত শুক্রাণু দেশে ফিরিয়ে আনেন ওই দম্পতি। সিদ্ধান্ত নেন, আইভিএফ পদ্ধতিতে মৃত ছেলের শুক্রাণুর সঙ্গে অন্য কারও ডিম্বাণুর মিলন ঘটিয়ে শিশুর জন্ম দেবেন। নাতি বা নাতনির মুখ দেখবেনই। কারণ, ওই দম্পতির ছেলে অবিবাহিত ছিলেন। এগিয়ে এসেছিলেন ওই ব্যক্তির মা-ই। নিজের ডিম্বাণুর সঙ্গে ছেলের শুক্রাণুর মিলন ঘটিয়ে সন্তানের জন্ম দিতে চেয়েছিলেন ৪৯ বছর বয়সি ওই মহিলা। কিন্তু, শারীরিক সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়নি। বোনের ইচ্ছা পূরণ করলেন তুতো বোন। সম্পর্কে মাসির ডিম্বাণুর সঙ্গে আইভিএফ পদ্ধতিতে মৃত বোনপোর শুক্রাণুর মিলন ঘটালেন চিকিৎসকরা। জন্ম নিল যমজ শিশু।
[ত্রিপুরায় ‘সরকার রাজ’ শেষ করতে ‘দয়াল বাবা কলা খাবা’ গাইছে গেরুয়া শিবির]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.