সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক সপ্তাহের লড়াই শেষ। দিল্লির (Delhi) হাসপাতালে শেষ হল আরও এক নির্যাতিতার জীবন। অভিযোগ, ২০১৯ সালে বারাণসীর বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছিল বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদ অতুল রাই। এই মামলায় জেলেও আছেন ওই সাংসদ। কিন্তু নির্যাতিতার অভিযোগ, এই মামলা থেকে সাংসদের নাম সরাতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাঁর উপর জুলুম চালাচ্ছিল। মিথ্যা মামলাতেও ফাঁসিয়েছিল। তার বিচার চাইতেই সাত দিন আগে শীর্ষ আদালতের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন তিনি ও তাঁর এক বন্ধু। গায়ে আগুন দেওয়ার আগে শেষ ফেসবুক লাইভে নির্যাতিতার দাবি, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের উপর তিনি বীতশ্রদ্ধ। তাই গায়ে আগুন দিয়ে এই প্রতিবাদ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, দু’জনকে আধপোড়া অবস্থায় ভরতি করা হয়েছিল রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। গত শনিবার মারা গিয়েছেন নির্যাতিতার বন্ধুও। কেন এই পরিণতি? সংবাদ সংস্থার দাবি, পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ওই দলিত মহিলার অভিযোগ ২০১৯ সালে তাঁকে ধর্ষণ (Rape) করে ঘোশি কেন্দ্রের বিএসপি সাংসদ অতুল রাই (Atul Rai)। সাংসদের বারাণসীর বাড়িতে ওই দলিত মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে একমাসের মধ্যে আত্মসমর্পণও করেছিলেন সাংসদ।
কিন্তু মহিলার শেষ জবানবন্দিতে দাবি, ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে সাংসদের পরিবারের কথায় ‘নাটক’ শুরু করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বারাণসী পুলিশ বারবার তাঁকে ধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয় বলেও অভিযোগ। সংবাদ সংস্থার দাবি, পালটা হিসাবে ওই দলিত (Dalit) মহিলার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
গত ১৬ আগস্ট বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে এসেছিলেন নির্যাতিতা। শেষ ফেসবুক লাইভে কাঠগড়ায় তোলেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে। দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে বালিয়া এবং বারাণসী দুটি পৃথক জায়গা থেকে তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে বারাণসী পুলিশের এক পদস্থ কর্তাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.