সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানের (Rajasthan) ভিলওয়াড়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণের পর ইটভাটার চুল্লিতে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতাকে চুল্লিতে ফেলে দিতে দুই অভিযুক্তকে সাহায্য করেছিলেন মহিলারা। ঘটনায় জড়িত মোট ১০ জন। ছয় পুরুষ এবং চার মহিলা। এখনও পর্যন্ত চার জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে জোর কদমে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
ভিলওয়াড়ার ইটভাটা থেকে কিশোরীর পোড়া দেহাংশ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুন করার পর প্রমাণ লোপাটে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এখনও পর্যন্ত যে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁরা হলেন কালু লাল (২৫), কানহা (২১), সঞ্জয় কুমার (২০) এবং পাপ্পু (৩৫)। জানা গিয়েছে যে মহিলারা কিশোরীকে ইটভাটার জ্বলন্ত চুল্লিতে ফেলে দিতে সাহায্য করেছিলেন তাঁরা অভিযুক্তদের স্ত্রী, মা এবং বোন। পুলিশ জানিয়েছে, এক নাবালকও জড়িত এই ঘটনায়। এদিকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে স্থানীয় থানার সাব-ইন্সপেক্টরকে।
ঘটনার নৃশংসতায় হতবাক তদন্তকারীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, জীবিত অবস্থাতেই কিশোরীকে জ্বলন্ত চুল্লিতে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল। তাঁকে গণধর্ষণেরও প্রমাণ মিলেছে। ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। শুধু তাই-ই নয়, অভিযুক্তদের যাতে মৃত্যুদণ্ড হয় তারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ছাগল চরাতে গিয়ে বুধবার নিখোঁজ হয়েছিল ভিলওয়াড়ার বছর ১৪ বছরের কিশোরী। পর দিন ইটভাটা থেকে তার দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ভিলওয়াড়ার গণধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি (BJP)। কংগ্রেস শাসিত মরুরাজ্যকে দেশের ‘ধর্ষণ-রাজধানী’ বলে তোপও দাগতে দেখা গিয়েছে পদ্ম শিবিরকে। এবার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ৪ মহিলা সদস্যের দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত বিজেপির। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার (JP Nadda) নির্দেশে ওই প্রতিনিধি দল শনিবারই দিল্লি থেকে রাজস্থানে যাচ্ছে। সেই দলে রয়েছেন বাংলার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chattarjee)।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.