সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহেও আশা জাগাচ্ছে মুম্বইয়ের ধারাভি-ওরলি। একসময়ে এই স্থানগুলি দেশবাসীর কাছে আশঙ্কার ছিল। আজ সেখানেই বাড়ছে সুস্থতার হার। জানা যায়, গত এক সপ্তাহে এই বসতিগুলির একজনও করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাননি।
মহারাষ্ট্রের দুই হটস্পট, ধারাভি (Dharavi) ও ওরলি (Worli)। সেখানেই পরিস্থিতির বদল ঘটছে। বৃহন্মুম্বই পুরসভার রিপোর্টে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে ঘনবসতিপূর্ণ ধারাভিতে সংক্রমণের হার অনেকটাই কমেছে। আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে ওরলিতেও। যেখানে দেশে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা সেখানে ধারাভি-ওরলিতে কমছে সংক্রমণ। পরিবর্তে এই বসতিগুলিতে বাড়ছে সুস্থতার হারও। মে মাসে ওরলিতে ক্রমেই বাড়ছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন গড়ে ৬০ জনের শরীরে মিলছিল মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি। চলতি মাসের শুরুতেই সেই ছবি পরিবর্তিত হয়। সংক্রমণের মাত্রা গড়ে ৬০ থেকে কমে ৩৫ থেকে ৪০-এ নেমে আসে। ধারাভিতেও সংক্রমণ বৃদ্ধির হারও কমেছে। এশিয়ার এই বৃহত্তম বসতিতে ১০ লক্ষ মানুষ বাস করেন। তবে খুশির খবর হল, গত এক সপ্তাহে এই বসতির একজনও করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাননি। ওরলি এবং ধারাভিতে এখন সংক্রমণ বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ১.৯% ও ১.৭%।
বৃহন্মুম্বই পুরনিগম (BMC)-র তথ্য জানায়, এপ্রিলের শেষ থেকে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছিল ধারাভি ও ওরলিতে। খুব কম দিনে বেশি সংখ্যক মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। এই দুই এলাকায় সুস্থতার হারও বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যায়। BMC-র জি নর্থ ওয়ার্ডের সহকারী মিউনিসিপ্যাল কমিশনার কিরণ দিগভকর বলেছেন, “সংক্রমণ সন্দেহে থাকা রোগীদের আগেই আইসোলেট করে নেওয়া হয়েছিল। র্যাপিড স্ক্রিনিং, টেস্টিং-এ সংক্রামিতদের দ্রুত চিহ্নিত করা গেছে। যাঁরা একই শৌচাগার ব্যবহার করেন সেইসব মানুষদের শনাক্ত করে তাঁদেরও কোভিড টেস্ট করানো হয়। বসতির বহু মানুষকে হোম-কোয়ারেন্টাইনে পর্যবেক্ষণেও রাখা হয়। ধারাভিতে এখনও অবধি ১ হাজার ৯২৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের।”
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে মহারাষ্ট্রে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ৯৭৫। মৃত্যু হয়েছে তিন হাজারের বেশি। এই পরিস্থিতিতে ধারাভি ও ওরলি আশার আলো দেখাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.