সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলে (Kerala) নতুন করে জিকা ভাইরাসে (Zika Virus) সংক্রমিত হয়েছেন দু’জন। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৬৩-তে। শনিবার আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে মহারাষ্ট্রেও (Maharashtra)। করোনা অতিমারীর আবহে আরেক ভাইরাসকে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে উদ্বেগ। গত এপ্রিলে মেডিক্যাল ভাইরোলজির জার্নালে প্রকাশিত এক বিশেষজ্ঞের বয়ান থেকে জানা যাচ্ছে, দুই ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণে মিলও রয়েছে।
গত ৮ জুলাই কেরলে প্রথম জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল। আক্রান্ত হয়েছিলেন বছর চব্বিশের এক যুবতী। এরপর থেকে গত কয়েক সপ্তাহে নিয়মিত আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। শনিবার মহারাষ্ট্রের পুণেতেও একজনের শরীরে ধরা পড়েছে জিকা ভাইরাস। আপাতত দু’টি রাজ্যেই এর অস্তিত্ব ধরা পড়লেও মশাবাহিত এই ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়ে সতর্ক থাকতে চাইছে রাজ্যগুলির প্রশাসন। যাতে সংক্রমণ আর না বাড়ে কিংবা অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে। কন্ট্রোল রুম খুলেছে কেরল সরকার। নেওয়া হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা।
কতটা মিল রয়েছে করোনা ও জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের? গবেষকরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু মিল থাকলেও রোগের প্রকোপ থেকে অন্যান্য বহু বিষয়েই করোনার থেকে আলাদা। সবথেকে বড় কথা, ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায় করোনা। জিকা কিন্তু ছড়ায় মশার কামড় থেকে। ডেঙ্গু কিংবা চিকুনগুনিয়ার মতোই।
ঠিক কী কী লক্ষণ থাকে এই ভাইরাসে আক্রান্তদের? বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোনও লক্ষণ থাকে না। চারজন আক্রান্তের মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা যায়। জ্বর, ত্বকে র্যাশ, কনজাংটিভাইটিস, পেশি ও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, মাথাব্যথার লক্ষণ থাকে।
সত্যিই কি জিকার সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত? পুণের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি’র বিশেষজ্ঞদের মতে, উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। এই ভাইরাসের স্ট্রেনকে বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বর্ষার মরশুমে এ ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়তে থাকায় জনস্বার্থে সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যদপ্তরও। প্রতিটি জেলাকে এই নয়া নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.