সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪৬তম জন্মদিনে বোর্ডের ওম্বুডসম্যানের নোটিস পেলেন শচীন তেণ্ডুলকর! তাঁর সঙ্গে নোটিস গিয়েছে ভি ভি এস লক্ষ্মণের কাছেও। ডি কে জৈনের এই নোটিস দুই তারকা ক্রিকেটারের স্বার্থ-সংঘাত প্রশ্নে। দু’জনই আইপিএলের দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির মেন্টর। এই দু’জনই আবার ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটির সদস্যও।
শচীন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও লক্ষ্মণ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে যুক্ত। এর আগে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগে বোর্ডের ওম্বুডসম্যান জৈন নোটিস ধরিয়ে ছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের উপদেষ্টা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও। যিনি শচীন ও লক্ষ্মণের মতো ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটির সদস্য। যে কমিটি ২০১৭-তে রবি শাস্ত্রীকে কোচ বেছে নিয়েছিল। জুলাইয়ের সেই বৈঠকই এই কমিটির শেষ বৈঠক। সৌরভ পরে তাঁর সামনে হাজির হয়েছিলেন। বিচারপতি জৈন তাঁর নোটিসে শচীন ও লক্ষ্মণকে ২৮ এপ্রিলের মধ্যে জবাব দিতে বলেছেন। দুই কিংবদন্তির বিরুদ্ধে অভিযোগটি করেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার সদস্য সঞ্জীব গুপ্ত। স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ ওঠায় আপাতত বেশ চাপে সৌরভ। তিনি আদৌ আইপিএলে দিল্লির ডাগআউটে শেষ পর্যন্ত থাকবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দূর হচ্ছে না। এর মধ্যেই আবার, নোটিস পেলেন এই দুই কিংবদন্তি।
বুধবার রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলিকে লোধা সুপারিশ পুরোপুরি মেনে চলার পরামর্শ দিলেন আদালত-বন্ধু পি এস নরসিমা। বলেন, কিছু ক্ষেত্রে নমনীয়তা দেখানো যেতে পারে, তবে লোধা সুপারিশ মেনেই সবাইকে চলতে হবে। উত্তর-পূর্বাঞ্চল সহ দশটি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার প্রতিনিধিরা নরসিমার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এঁদের বক্তব্য ছিল বোর্ডের অনুদান পাওয়া নিয়ে। নরসিমা বলেন, রাজ্য সংস্থাগুলিকে লোধা সুপারিশ মানতেই হবে। মানলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু আংশিকভাবে এই সুপারিশ মেনে নিলে তাতে কাজ হবে না। কিছু সংস্থা ইতিমধ্যেই এই সুপারিশ পুরোপুরি কার্যকর করেছে এবং সিওএ তাদের অনুদান খুব শীঘ্রই দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবারই লোধা সুপারিশের বিরুদ্ধে বিসিসিআইয়ের আবেদনের শুনানি ছিল। নরসিমা শীর্ষ আদালতের সামনে নিজের রিপোর্ট পেশ করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.