গোবিন্দ রায়: বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা ইস্যুর জল এবার গড়াল কলকাতা হাই কোর্টে। এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ ১০ বিজেপি বিধায়ক। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলা দায়ের করার অনুমতিও পান তাঁরা। সোমবারই দুপুর ১টায় মামলার শুনানি।
গত বুধবার বিকেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। বি আর আম্বেদকরের মূর্তির নিচে তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি চলছিল। ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিকে অমিত শাহের সভা শেষ হতেই শুভেন্দু-সহ বিজেপির অন্য বিধায়করা বিধানসভায় হাজির হন। তৃণমূলের ধরনার অদূরে গাড়ি বারান্দার নিচে পালটা ধরনা শুরু করে বিজেপি। ‘চোর, চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন। এদিকে তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচির শেষে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীনও বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে থাকে। আর তার জেরেই তৃণমূল জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
লিখিতভাবে স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানান তিন তৃণমূল বিধায়ক। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই বিধানসভায় সেন্ট্রাল ডিসিকে ডেকে পাঠান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, অভিযোগপত্র তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতেই ১২ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় FIR দায়ের হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এদিন লালবাজারে তলব করা হয়েছে তাঁদের। কেউই হাজিরা দেবেন না বলে ই-মেল মারফৎ জানান।
এদিকে, এদিনের রায় প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “যেকোনও গণ আন্দোলন, অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত হয়। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। এটার সঙ্গে শপিং মল উদ্বোধনের কোনও সম্পর্ক নেই। যিনি তুলনা করছেন তিনি যে পদেই থাকুন না কেন জেনে রেখে নিন মনীষী, জাতীয় সংগীতের সম্মান করা মমতাই শিখিয়েছেন। আগে বাম জমানায় মার্কস, লেনিনদের মালা পরানো হত। দেশীয় মনীষীদের দিকে ফিরে তাকাত না। আমি বিচারপতিকে প্রশ্ন করছি, যখন খেলা দেখেন জাতীয় সঙ্গীত হয়, উঠে দাঁড়াই না? এটা শিখিয়ে দিতে হবে? অফিস, ক্লাবে থাকলেও উঠে দাঁড়াই। এর সঙ্গে শপিং মল উদ্বোধনের তুলনা অনভিপ্রেত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.