ফাইল ছবি
গোবিন্দ রায়: ১১টি আধার কার্ড ব্যবহার করে ৮৩ জনের পাসপোর্ট! শুধুই নয়, সেই ৮৩ জনের মধ্যে আবার ৩৭ জনের কোনও অস্তিত্বই নেই! পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য জমা পড়ল কলকাতা হাই কোর্টে।
সম্প্রতি পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের হাতে গ্রেপ্তার হন মহম্মদ ইমরান নামে সেখানকার ট্রাফিক পুলিশের এক হোমগার্ড। এ ছাড়া বিশ্বজিৎ ঘোষ নামেও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পেশায় পোস্টম্যান। জামিন চেয়ে মামলা করে ইমরান। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে। সেখানেই দুই ধৃতের জামিনের শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলি জানান, “ভদ্রেশ্বর থানার মামলায় ৮৩ জন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। সেখানে ১১টি আধার কার্ড ব্যবহার হয়েছে। সেই ৮৩ জনের মধ্যে আবার ৩৭ জনের কোনও অস্তিত্বই নেই।” এই তথ্য শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতির মন্তব্য, “এও হতে পারে! এতো সরষের মধ্যেই ভূত লুকিয়ে রয়েছে।”
এদিন হোমগার্ড মহম্মদ ইমরানের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এই মামলার মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ হালদার এখনও ফেরার। তার কাছ থেকেই এই ইমরানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ শুধু তাই নয়, রাজ্যের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাফিক হোমগার্ড হওয়ার সুবাদে ওই সব জাল নথি দিয়ে আইবি রিপোর্টেও কারচুপি করতেন ইমরান। অন্যদিকে, বিশ্বজিৎ ঘোষের কাজ ছিল এই সব জাল পাসপোর্ট বাইরের লোকেদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলায় কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন এসআই আবদুল হাই গ্রেপ্তার হওয়ার পর জালে পড়ে হোমগার্ড মহম্মদ ইমরান। ২০২৩–এর অক্টোবরে অবসর নেন আবদুল। কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (এসসিও)–এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। অবসর নেওয়ার আগে শেষ চার বছর পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই করতেন তিনি বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.