তনুজিৎ দাস: ‘মিথ্যা কথা বলে দিল্লির কাছে নম্বর বাড়াতে চাইছেন। দল ছেড়ে কেউ যায়নি, সকলেই যোগাযোগ রাখছেন।’ দলবদল ইস্যুতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, মুকুল যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন দলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করতেন। এখন সারদা-নারদা থেকে পিঠ বাঁচাতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
নিজে দলবদলে ফেলেছেন। এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসেও ভাঙন ধরিয়েছেন একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সৈনিক’ মুকুল রায়। লোকসভা ভোটের আগে তাঁর হাত ধরেই বিজেপি যোগ দিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ, অর্জুন সিংয়ের মতো এ রাজ্যের শাসকদলের সাংসদ ও বিধায়ক। ভোটের ফলপ্রকাশের পর তো বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। দিল্লিতে গিয়ে মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, স্রেফ দলবদলের কারণে ভাটপাড়া পুরসভা হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। নৈহাটি, হালিশহর পুরসভায়ও বিপাকে তৃণমূল কংগ্রেস।
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মুকুল রায় দাবি করেছিলেন, তারকেশ্বরের খানপুর ও চাঁপাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ জন তৃণমূল সদস্য যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। বুধবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে পালটা সাংবাদিক সম্মেলন করলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, মুকুল রায় মিথ্যা কথা বলে বাজার গরম করার চেষ্টা করছেন। খানপুর ও চাঁপাডাঙা পঞ্চায়েতের সিংহভাগ সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসেই আছেন। কেউ বিজেপিতে যোগ দেননি। এদিন সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে মুকুল রায়ের মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন অভিষেক। বলেন, ‘সিঙ্গুর আন্দোলন যদি ভুল হয়ে থাকে, তাহলে সেদিন কেন দল ছাড়েননি?’ তৃণমূল সাংসদের সংযোজন, সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষকদের পক্ষে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাই সিঙ্গুর আন্দোলনের সমালোচনা করা মানে আদালতের রায়কে অসম্মান করা। এদিকে আগামী ১৫ জুন রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠিয়েছেন তিনি। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্যের রিপোর্টও চেয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.