ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরপর দু’দিনে এটিএম জালিয়াতির শিকার ২৫ জন। গ্রাহকদের অজান্তেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়েছে মোটা অংকের টাকা। সবকটি ঘটনাই ঘটেছে যাদবপুর এলাকায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রবিবার ও সোমবার এই দু’দিনে যাদবপুর থানায় মোট ২৫ টি জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল থেকে যাদবপুর এলাকার একাধিক গ্রাহকের অজান্তেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে টাকা। নিমেষে কারও অ্যাকাউন্ট থেকে উবে গিয়েছে পনেরো হাজার টাকা। কারও আবার তিরিশ হাজার। কারও তার থেকেও অনেকটা বেশি। আচমকা মোবাইলে মেসেজ আসার পর গ্রাহকেরা জানতে পেরেছেন যে তাঁদের অ্যাকউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে টাকা। তড়িঘড়ি ব্যাংকে যোগাযোগ করে অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে দেন গ্রাহকেরা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকের গ্রাহকেরাও একইভাবে প্রতারিত হয়েছেন। একে একে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সকলে। অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। একে একে এলাকার সব কটি এটিএমে তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু কোনও জায়গা থেকেই সন্দেহভাজন কিছু মেলেনি। সূত্রের খবর, যে ক’জন গ্রাহক এটিএম জালিয়াতির শিকার, তাঁদের অধিকাংশের অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা তোলা হয়েছে দিল্লি থেকে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সবকটি জালিয়াতির ঘটনার সঙ্গে একটি চক্রই জড়িত। সেই চক্রের হদিশ পেতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘পুলিশ তোমাদেরও বন্ধু’, ক্লাসরুমে গিয়ে পড়ুয়াদের ভীতি কাটালেন এসডিপিও]
এটিএম জালিয়াতির ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। প্রতারকের দাপটে এটিএম কার্ড ব্যবহার করাই বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কেউ কেউ। জালিয়াতি রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ব্যাংকগুলি। পুলিশ-প্রশাসনের তরফেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে চলেছে। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব? এখন সেই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.