সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দমদম সেন্ট্রাল জেলে কয়েদি ও জেলকর্মীদের সংঘর্ষে মৃত তিন বন্দি। গুরুতর জখম অন্তত ১০ জন। তবে পুলিশ সূত্রে দাবি, এক বন্দির মৃত্যু হয়েছে। সেই দেহ ঘিরে নতুন করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে বন্দিরা। জেলকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কয়েদিরা বোমা ও গুলি ছোঁড়ে বলেও অভিযোগ। এমনকী গ্যাস সিলিন্ডার ফাটানো হয় বলেও খবর। পুলিশও পালটা গুলি চালায় বলেও খবর। তবে জেলের ভিতরে গুলি, বোমা কীভাবে পৌঁছলে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বহুদিন ধরে পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সংঘর্ষের উদ্দেশ্যে জেলেরদ ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা হয়েছিল। কিন্তু সেকথা জেলকর্মীরা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি বলে অভিযোগ। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে কালঘাম ছুটেছে দমকলবাহিনীরষ জেলের ভিতরে থাকা কম্বল কারখানায় দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। সেই আগুন এখনও নেভানো যায়নি বলে খবর।
শনিবার বেলা ১২টা থেকে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। করোনা আতঙ্কে রাজ্যের প্রায় সমস্ত আদালত বন্ধ। ফলে বিচারাধীন বন্দিদের আদালতে পেশ করা যাচ্ছে না। এমনকী সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের প্যারোলে ছাড়তে চাইছেন না জেল কর্তৃপক্ষ। উপরন্তু করোনা সংক্রান্ত সতর্কতায় বাড়ির লোকেদের সঙ্গেও বন্দিদের দেখা করার সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ ক্রমণ দানা বাঁধছিল। এদিকে বন্দিরা বিদেশি সাজাপ্রাপ্তদের আলাদা রাখার দাবিও জানাচ্ছিল তারা। অন্যদিকে মাস্ক-সহ পরিচ্ছন্নতার দাবিতে সরব হয়েছিল তারা। এদিন শেষপর্যন্ত ক্ষোভে ফেটে পড়েন কয়েদিরা।
সংঘর্ষের শুরুতেই জেলকর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বেলা গড়াতেই শুরু হয় বোমাবাজি। এমনকী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। সংঘর্ষে তিন বন্দির মৃত্যু হয়। দুজনের নাম কমলেশ ও কানা পাপ্পু। আরেক বন্দির নাম পাওয়া যায়নি। এদিকে জেলের বন্দিদের কাছে কীভাবে বোমা, গুলি পৌঁছল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ছবি ও ভিডিও : পঙ্কজ বিশ্বাস
দেখুন ভিডিও :
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.