ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: হরিদেবপুরে যুবক খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ২। বৃহস্পতিবারই মূল অভিযুক্ত কুন্দন লালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হল আরও দু’জনকে। ঘটনার নেপথ্যে আর কারও যোগ রয়েছে কি না, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার। ওইদিন দক্ষিণ শহরতলির হরিদেবপুর থানা এলাকার চকরামপুরের বাড়ির দোতলার বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় বাপ্পা ভট্টাচার্য নামে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, ধাতব মূর্তি দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত করে তাঁকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ বাপ্পার মোবাইলের কললিস্ট ও এলাকার বাসিন্দাদের সূত্র ধরে কয়েকজন যুবকের নাম জানতে পারে পুলিশ। তারা মৃতের সহকর্মী। মধ্য কলকাতার যে চা পাতার দোকানে কাজ করতেন বাপ্পা, সেখানেই অভিযুক্তদের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। সেই সূত্র ধরেই বাপ্পার বাড়িতে যাতায়াত করত বিহারের বাসিন্দা কুন্দন লাল ও তার সঙ্গীরা।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা বাপ্পার কাছ থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা নেয়। সেই টাকা চাইছিলেন বাপ্পা। মদ্যপানের পর সেই পাওনা টাকা ঘিরে বচসা হয়। তারই জেরে তাদের মধ্যে মারপিট হয়। বিছানায় বাপ্পার উপর হামলা চালিয়ে প্রথমে টব দিয়ে মারার চেষ্টা হয়। সেটিকে এড়িয়ে যাওয়ার পর খুনিরা আরও মারমুখী হয়ে ওঠে। তারা ধাতব মূর্তি তুলে তাঁকে আঘাত করে। এরপরই মৃত্যু হয় বাপ্পার।
সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ১০ মার্চ বিহারের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত কুন্দনকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই হদিশ মেলে আরও দুই অভিযুক্তের। জিতেন লামা ও দেবরাজ রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে ধৃতরা। জানা গিয়েছে, পূর্ব পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে তেমনটা একেবারেই নয়। মদের আসরে বচসার জেরেই খুন করা হয় বাপ্পাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.