অর্ণব আইচ: সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে খোঁড়া বাদশা-সহ চার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল আলিপুর আদালত। বেকসুর খালাস পেয়েছেন ৬ জন। শুক্রবার দোষীদের সাজা ঘোষণা। এখনও পলাতক ২ জন। সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি ও মগরাহাট থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার উস্তি থানায় যে মামলা দায়ের হয়েছিল, সেই মামলায় খোঁড়া বাদশা-সহ চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।
[ শহরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু শিশুর, মারণ জ্বরের আতঙ্ক সর্বত্র]
এ রাজ্যে তখন সদ্য ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে ডিসেম্বরে মগরাহাট, উস্তি-সহ ডায়মন্ডহারবার মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় বিষমদ খেয়ে মারা যান ১৭২ জন। এই ঘটনা সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ড নামে পরিচিত। রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। নিহতদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। এদিকে মগরাহাট ও উস্তি থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে পুলিশ। পরে সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডের তদন্তভার নেয় সিআইডি। তদন্তে জানা যায়, যে চোলাই মদ খেয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, সেই চোলাই মদ বানাত কুখ্যাত দুষ্কৃতী নূর ইসলাম ওরফে ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশা।
সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল ১৭২ জনের। তাঁদের মধ্যে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল উস্তি থানায়। অভিযুক্ত ছিল ১২ জন। দু’জন এখনও পলাতক। মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশা ও তাঁর স্ত্রী-সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। চার্জশিট পেশ করা হয় ২০১২ সালে। বৃহস্পতিবার সেই মামলা খোঁড়া বাদশা-সহ চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করল আলিপুর আদালত। প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়ে গেলেন ৬ জন। এদিকে মগরাহাট থানায় যে মামলাটি দায়ের হয়েছে, সেই মামলা এখন বিচারধীন।
[ পুজোয় আর্থিক সমস্যা, স্ত্রী-কন্যার গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা গৃহকর্তার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.