রমেন দাস: সন্দীপ ঘোষের ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে সরব জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরোধিতা করলেই বছরের পর বছর ধরে পরীক্ষায় সাপ্লি, ফেল করিয়ে দেওয়াই ছিল দস্তুর। এমনকী, মিথ্যা অভিযোগ তুলে কলেজের নানা অনুষ্ঠানে বয়কট করা হত ‘বিরোধী’ ছাত্রছাত্রীদের। মঙ্গলবার সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের আমন্ত্রণে সংবাদ মাধ্যমের অফিসে এসে একথাই জানালেন চার পড়ুয়া।
মঙ্গলবার ‘বিরোধী’ ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে অফিসে এসেছিলেন চিকিৎসক পড়ুয়া জুনিথ সিনহা, আশিক হাবিবুল্লা, শৌর্যদীপ্ত মজুমদার এবং প্রত্যুষ ভট্টাচার্য। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তাঁরা। আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া আশিকের কথায়, “পুরো সিস্টেমের মধ্যে এদের প্রতিনিধি রয়েছে। কেউ যদি ওঁর বিরুদ্ধে কথা বলত, তাঁর বদলি করে দেওয়া হত। ছাত্রছাত্রীরা বিরোধিতা করলে তাঁদের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হত। আমরা সকলেই ভুগেছি।” তাঁকে পরীক্ষায় ফেল করানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন আশিক। কিন্তু কেন? উত্তরে জানালেন, “২০২৩ সালে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সন্দীপ ঘোষের বদলি হয়ে গিয়েছিল। বদলে এসেছিলেন মানস স্যর। তিনি যাতে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারেন, ঘরে বসতে পারেন সেই জন্য সাপোর্ট করেছিলাম। এটা সন্দীপ ঘোষের বিরোধিতা হিসেবে নিয়েছিল সন্দীপ-বাহিনী। তাই আমাকে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছিল।”
একই অভিযোগে সরব হয়েছেন আরেক পড়ুয়া জুনিথ সিনহা। তিনি জানালেন, “গত তিন বছর ধরে আমি এর ভিক্টিম। সন্দীপ-বাহিনীর বিরুদ্ধে থাকায় দ্বিতীয়, তৃতীয় বর্ষে আমাকে সাপ্লি দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, সাসপেন্ড করা, মিথ্যা কেস দেওয়া, সোশালি আইসোলেট করা হত। ফেস্টে যেতে দেওয়া হত না। হোস্টেলে থাকত পারব না। তিন-সাড়ে তিন বছর ধরে এটাই চলে আসছে।” জুনিথের বিস্ফোরক অভিযোগ, “সন্দীপের নেপথ্যে সরকারি লোকেরও মদত রয়েছে। না হলে কি এতটা সাহস পেত? স্বাস্থ্যভবনের সর্বত্র নেক্সাস রয়েছে।”
পরিশেষে ৪ ডাক্তারি ছাত্র জানালেন, যতদিন না দাবিপূরণ হচ্ছে আন্দোলন চলবে। তবে এই আন্দোলন হবে অরাজনৈতিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.