অর্ণব আইচ: বয়স মোটে ৯ বছর। ইঞ্জেকশন দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিল শিশুটি। রীতিমতো কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছিল সে। রোগীকে সামলাতে না পেরে মেজাজ হারালেন চিকিৎসক। অভিযোগ, ওই শিশুকে মারধর করেছেন তিনি। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্তের পরিবারের লোকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠিতে।
[শহরে স্পিচ থেরাপির নামে শিশুকে নির্যাতন, গ্রেপ্তার শিক্ষিকা]
আক্রান্ত শিশুর নাম জাহ্নবী সাহা। বাড়ি টালিগঞ্জের রানিকুঠিতে। স্থানীয় একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে সে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক দিন ধরে দাঁতের সমস্যায় ভুগছে জাহ্নবী। তাঁকে দন্ত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন বাড়ির লোকেরা। রানিকুঠিতেই চেম্বার ওই চিকিৎসকের। জাহ্নবীর বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, দাঁতে ইঞ্জেকশন দিতে গেলে খুব ভয় পেয়ে যায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীটি। কাঁদতে শুরু করে সে। হাত-পাও ছুঁড়তে থাকে। দন্ত চিকিৎসকের হাত থেকে ইঞ্জেকশনটি পড়ে যায়। মেজাজ হারান তিনি। অভিযোগ, জাহ্নবীকে মারধর করেন ওই চিকিৎসক। এই নিয়ে বাড়ির লোকের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটিও হয়। চেম্বার থেকে সোজা নেতাজিনগর থানায় যান আক্রান্তের পরিবারের লোকেরা। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন তাঁরা। তবে শিশুটির আঘাত তেমন গুরুতর নয়। সে বাড়িতেই আছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক এখনও গ্রেপ্তার হননি।
[স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের পর অনেকটাই সুস্থ দিলচাঁদ]
দিন কয়েক আগেই শহরের একটি স্পিচ থেরাপি ইনস্টিটিউটে আড়াই বছরের শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। শিশুটির বাবার অভিযোগ, তাকে মারধর করেছেন শিক্ষিকা চৈতালী মুখোপাধ্যায়। মারের চোটে শিশুটির মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে শুরু করে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এদিকে আবার বাবার বিরুদ্ধেই শিশুটিকে মারধরের অভিযোগ তুলেছিলেন স্পিচ থেরাপি ইনস্টিটিউটের ওই শিক্ষিকা।
[মল্লিকবাজারে বহুতলে আগুন, আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন স্থানীয় বাসিন্দারা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.