অর্ণব আইচ: শহর কলকাতার (Kolkata) বুকে এবার প্রায় সাড়ে ১৬ ঘণ্টা বাড়িতে পড়ে রইল করোনায় (Corona Virus) মৃতের দেহ। অভিযোগ, পরিবারের তরফে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হলেও পুলিশ-স্বাস্থ্য ভবন কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে দীর্ঘক্ষণ বাড়িতেই পড়ে থাকে বৃদ্ধের দেহ। অবশেষে সোমবার দুপুরে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
বেহালারা (Behala) সাহাপুর কলোনির বাসিন্দা বছর ৬২-এর ওই বৃদ্ধ। তাঁর পরিবারের ৫ জনই করোনা আক্রান্ত। ফলে গোটা বাড়ি কনটেনমেন্ট করে রেখে গিয়েছে প্রশাসন। পরিবারের সকলেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে রবিবার আচমকা অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে ওই বৃদ্ধের। বাড়তে থাকে শ্বাসকষ্ট। কিন্তু কোনও হাসপাতালে ভরতি করা যায়নি তাঁকে। পরে রাত প্রায় ১২ টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। সেই থেকে লড়াই শুরু পরিবারের। পরিবার সূত্রে খবর, রাত থেকে একাধিকবার চেষ্টা করেও পুলিশ-স্বাস্থ্যভবন কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তাঁরা। এই পরিস্থিতিতেই কেটে যায় রাত। সোমবার সকালে কোনওক্রমে গোটা ঘটনাটি প্রতিবেশীদের জানান মৃতের পরিজনরা। সহযোগিতা চান।
এরপর স্থানীয়রাই খবর দেয় পুলিশে। দীর্ঘক্ষণ পর সোমবার বেলা ৩ টে নাগাদ পুলিশ ও স্বাস্থ্যভবনের আধিকারিকরা গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। মৃতের এক আত্মীয়ের কথায়, ওই বৃদ্ধের করোনা ধরা পড়ার পর প্রশাসনের তরফে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছিল। পরে শ্বাসকষ্ট বাড়লেও তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা যায়নি। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারাও।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। এর আগেও শহর কলকাতায় এহেন ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। কারও সহযোগিতা না পেয়ে করোনায় মৃতের দেহ ফ্রিজে রাখার ব্যবস্থা করতেও বাধ্য হয়েছিল এক পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.