ছবিটি প্রতীকী
অর্ণব আইচ: জোড়াবাগানে হোসিয়ারি কারখানার ভিতর থেকে উদ্ধার হল শ্রমিকের গলা কাটা দেহ। তা নিয়ে সৃষ্টি হল রহস্য। পুলিশের ধারণা, চলন্ত মেশিনের ব্লেডে গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। যদিও ওই কারখানার কর্মী তথা সহ-কর্মীদের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে যুবককে। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, এ বিষয়ে জোড়াবাগান থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যার দিকেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কোনও মেশিনের ব্লেডেই যে এই আঘাত, সেই তথ্যও দেওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সিদ্ধার্থ সাহানা (২৮)। তাঁর আসল বাড়ি বাঁকুড়া জেলার নিয়ামতপুরে। প্রায় দেড় বছর ধরে উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান থানা এলাকার বেনিয়াটোলা লেনের হোসিয়ারি কারখানাটিতে কাজ করছিলেন ওই যুবক। সিদ্ধার্থের মতো আরও কয়েকজন কর্মী, যাঁরা বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা, তাঁরাও ওই কারখানায় কাজ করেন। কাজের সূত্রে কারখানার ভিতরেই থাকেন। এখানেই খাওয়াদাওয়া করেন। দুপুরে কয়েকজন কর্মী দেখতে পান, কাপড় কাটার জন্য ব্লেডের মেশিনের টেবিলেই গলা কাটা অবস্থায় শুয়ে আছেন সিদ্ধার্থ। অচেতন অবস্থায় আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
খবর পেয়ে জোড়াবাগান থানা পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। কারখানাটির মালিকের এক আত্মীয় জানান, যখন অন্য শ্রমিকরা বাইরে খেতে গিয়েছিলেন তখনই এই ঘটনাটি ঘটে। এখানে প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে কারখানার ভিতরে তাঁরা খাওয়া দাওয়া করে থাকেন, সেখানে একসঙ্গে সবাই বাইরে খেতে গেলেন কেন? জানিয়েছেন যে তারা বাইরে থেকে এসে দেখতে পান টেবিলের ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় শুয়ে আছেন সিদ্ধার্থ। তাঁর গলা কাটা। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, সম্ভবত মেশিন চালানোর পর নিজের গলা ব্লেডের কাছে নিয়ে এসে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু হঠাৎই বা তিনি আত্মহত্যা করতে গেলেন কেন, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য। পুলিশের দাবি, ওই যুবক প্রায়ই মদ্যপান করতেন ও তাঁর অন্যান্য নেশাও ছিল। এ ছাড়াও গত কয়েকদিন ধরে তিনি কিছু খাচ্ছিলেন না। কোনও ব্যক্তিগত সমস্যার ফলেই তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। তারই জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই কারখানাটি অন্যান্য কর্মী ও মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.