ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েক আগে সুদূর চিনে (China) থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছে ছেলের। বর্তমানে সেখানকার মর্গে শায়িত দেহ। কিন্তু দেহ ঘরে ফেরাতে পারছে না বেনিয়াপুকুরের (Beniapukur) পরিবার। কারণ, বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। ইতিমধ্যই এবিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে চিনের ভারতীয় দূতাবাসেও যোগাযোগ করেছেন তাঁরা। কিন্তু আশার আলো দেখাতে পারেনি কেউ।
জানা গিয়েছে, বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম ইমতিয়াজ আহমেদ। পেশায় ব্যবসায়ী। চলতি বছর মার্চে ব্যবসার কাজেই চিনে পাড়ি দেন তিনি। ফেরার আগেই ভয়ংকর চেহারা নেয় মারণ ভাইরাস করোনা (Coronavirus)। যার জেরে চিনেই আটকে পড়েন ইমতিয়াজ। পরবর্তীতে বাংলার পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হলেও ঘরে ফিরতে পারেননি তিনি। এরইমাঝে আগস্ট মাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। বাড়িতে ফোন করে সেকথা জানান তিনি। ক্রমশ তাঁর পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। ১২ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর। সেই থেকেই লড়াই শুরু পরিবারের।
ইমতিয়াজের মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই দেহ বাড়িতে ফেরানোর জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে পরিবার। কিন্তু কীভাবে দেহ আনা হবে? পরিবারের কথায়, চিন থেকে কলকাতায় দেহ ফেরাতে প্রয়োজন ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। কিন্তু এত টাকা জোগাড় করা তাঁদের পক্ষে কার্যত অসম্ভব।যোগাযোগ করা হয় চিনের ভারতীয় দূতাবাসে। কিন্তু নাহ, তাতেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। তাই শেষবারের মতো ছেলের দেখা পাবেন কি না, এখন সে বিষয়ে সন্দিহান ইমতিয়াজের বাবা। ছেলের এই পরিণতি যেন কিছুতেই মানতে পারছেন না তিনি। মৃতের পরিবারের কথায়, “কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পাশে না দাঁড়ালে ছেলেকে শেষ দেখাও দেখা হবে না।” এখন সরকারি সহযোগিতার অপেক্ষায় বেনিয়াপুকুরের ওই পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.