দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: এক ফোনে সর্বস্বান্ত হয়েছে বহু পরিবার। এটিএমের পিন জেনে অথবা এটিএমের কার্ডে থাকা নম্বর কৌশলে হাতিয়ে প্রতারণা করেছে দীর্ঘদিন ধরে। শুধু তাই নয় প্রতারণা চক্র চালানোর জন্য ঝাঁ চকচকে অফিস খুলে বসে ছিল প্রতারকরা। আর এই কাজ করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল বেশ কয়েকজন কর্মী। কম্পিউটার বসিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত তাদের। মোটা মাইনেও দেওয়া হত। লকডাউনের সময়ও দিব্যি চালিয়ে গেছে এই কারবার। আর্থিক মন্দার কারণেও ঘাটতি পাড়েনি তাদের এই চক্রের। উলটে বেড়েছে ব্যবসা। অবশেষে এটিএম চক্রের কিংপিন ধরা পরল পুলিশের জালে। সোমবার সকালে যাদবপুরের (Jadavpur) একটি কল সেন্টারে হানা দিয়ে এই কাজের মাস্টারমাইন্ড রাহুল যাদবকে গ্রেপ্তার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। রাহুলের বাড়ি ভিনরাজ্যে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন আগে সোনারপুরের এক ব্যক্তি থানাতে অভিযোগ জানান তাঁর ব্যাংক থেকে ৯০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। সেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। আর সেই ঘটনার তদন্তে নেমে সোমবার সকালে যাদবপুরের একটি কল সেন্টারে অভিযান চালায় সোনারপুর থানার পুলিশ। সেখান থেকেই রাহুল কুমার সিং নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের ধারণা রাহুলের নেতৃত্বেই ওই কল সেন্টার থেকে এটিএম প্রতারণা চক্র চালানো হত। বেশ কিছু নথিও উদ্ধার হয়েছে ওই কলসেন্টার থেকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই সোনারপুরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ পুলিশের কাছে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। পুলিশ সেই ঘটনার তদন্ত নেমে জানতে পারে প্রতারিতদের প্রতারিত হওয়ার পদ্ধতিটা প্রায় একইরকম। পুলিশি জেরায় ধৃত স্বীকার করেছে শুধু সোনারপুর নয়। কলকাতা এবং আশেপাশের এলাকা থেকে তারা বিভিন্নভাবে ব্যাংকে রাখা গ্রাহকদের টাকা প্রতারণা করেছে। ধৃতকে এদিন বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.