রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: করোনা সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব স্থাপন একমাত্র বিকল্প বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। তাই একটানা একুশ দিন ধরে চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক উপার্জন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন দিন আনি দিন খাই মানুষেরা। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন হাওড়ার মন্দিরতলার বাসিন্দা জয়ন্ত সিংহ। তাঁর মা মারা গিয়েছেন সবেমাত্র এক সপ্তাহ হয়েছে। মায়ের স্মৃতির উদ্দেশে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোরই সিদ্ধান্ত তাঁর।
সদ্য প্রয়াত হয়েছেন মা। শ্রাদ্ধের কাজ মিটেছে। আর মায়ের আত্মার শান্তিতে বর্তমান পরিস্থিতিতে গরিব ও ভবঘুরেদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলেন হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিক জয়ন্ত সিংহ। হাওড়া ট্রাফিক গার্ডের আইসি তিনি। রবিবার সকালে শিবপুর এলাকায় শতাধিক গরিব মানুষ ও ভবঘুরের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। মায়ের স্মৃতির উদ্দেশে ব্যক্তিগতভাবে ওই সমস্ত মানুষদের চাল, ডাল, আলু তুলে দেন। এদিন শিবপুর সাব ট্রাফিক গার্ড অফিসের সামনে নির্দিষ্ট দূরত্বে সকলকে দাঁড় করিয়ে এই খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন আধিকারিক। আরও কয়েকশো মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হবে বলে জানালেন হাওড়া ট্রাফিক গার্ডের আইসি জয়ন্ত সিংহ।
লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন হাওড়া সিটি পুলিশের প্রত্যেকটি থানা। প্রতিদিনই ভবঘুরে ও গরিব মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন ব্যাটরা থানার আইসি দেবকুমার মুখোপাধ্যায় এবং দাসনগর থানার আইসি অরূপ রায়চৌধুরীও। এছাড়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও দুস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রতিদিনই দাসনগর, বালিটিকুরি, কোনা, শানপুর এলাকায় খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ বিভাস হাজরা।
করোনা সংক্রমণ লকডাউনের জেরে বন্ধ কলকারখানা। গরিব মানুষেরা আর পাঁচজনের মতো করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় কাঁটা। তেমনই আবার কী খাবেন তাঁরা, তা নিয়েও অত্যন্ত চিন্তিত। খাবার অভাব হবে না বলেই ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন নেতামন্ত্রীরা সকলের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ আধিকারিক ব্যক্তিগত উদ্যোগ বিপদের দিনে আশার আলো জোগাচ্ছে অসহায়দের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.