পুলিশ বারাকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়।
অর্ণব আইচ: মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু? আলিপুর বডিগার্ড লাইনে পুলিশকর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ঘনীভূত রহস্য। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। কীভাবে মারা গেলেন ওই পুলিশকর্মী তা নিয়েই ধন্দে তদন্তকারীরা।
পীযূষ চক্রবর্তী নামে ওই পুলিশকর্মী আলিপুরের বডিগার্ড লাইনের বারাকের দোতলার ঘরে থাকতেন। আর্মড ফোর্সে কর্মরত ছিলেন তিনি। শুক্রবার মাঝ রাতে তাঁর ঘর থেকেই উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ। তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান হচ্ছে। তবে কেন আত্মহত্যা করলেন পুলিশকর্মী, সেই কারণ নিয়ে ধন্দে প্রায় সকলেই। অনেকেই বলছেন তিনি নাকি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তবে মানসিক অবসাদে কারণ কী, তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই পীযূষের নিথর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তাঁর পরিজনদেরও মৃত্যুর খবর জানিয়েছে পুলিশ। পীযূষের মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ তাঁর সহকর্মী এবং পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
এই প্রথমবার নয়। এর আগে আলিপুর বডিগার্ড লাইনে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাঁধে। পুকুর থেকেই উদ্ধার করা হয় প্রসেনজিৎ নামে ওই যুবকের দেহ। নিহতের পরিবার অবশ্য প্রসেনজিতকে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি করেছিল। তাঁদের দাবি, সরকারি চাকরি পাবেন এই আশাতেই নাকি বুক বেঁধেছিলেন প্রসেনজিৎ। তাই তাঁর পরিচিত দুই যুবককে তিন লক্ষ টাকাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দিনের পর দিন কেটে গেলেও মেলেনি চাকরি। তাই বাধ্য হয়ে টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছিলেন। টাকা ফেরত নিতে উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ এসেছিলেন কলকাতায়। তারপরই পরিবারের কাছে পৌঁছায় ওই যুবকের মৃত্যুসংবাদ। এই ঘটনায় ওয়াটগঞ্জ থানায় খুনের মামলাও রুজু করেছিলেন নিহতের পরিবার। সুবিচারের আশায় এখনও প্রহর গুনছেন নিহতের পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.