অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: তিলজলায় ব্যবসায়ী অপহরণ কাণ্ডে যোগসাজোশের অভিযোগ। সাসপেন্ড করা হল এসটিএফের এসআইকে। গোটা ঘটনায় ঠিক কী ভূমিকা ছিল ওই পুলিশ কর্মীর তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বিষয়টা ঠিক কী? অপহৃত ব্যবসায়ীর নাম রাজমুল সেখ ওরফে রাজু। ফারাক্কার বাসিন্দা তিনি। প্রথমে ডিটারজেন্টের ব্যবসা করতেন। পরে চিনার পার্কের এক ব্যক্তির কথায় ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যাবসা শুরু করেন। বৃহস্পতিবার তিলজলার কাছে একটি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া হয় ফোনে। রাজমুলের আত্মীয় আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ, কয়েকজন যুবক গাড়ি করে এসে রাজমুলকে অপরহণ করে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা ফোনে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে চান। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন দিঘা থেকে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হয়েছিল।
গোয়েন্দা পুলিশরা দিঘায় হানা দিয়ে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কলকাতায় নিয়ে আসেন। দিঘা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সোমবার হাওড়া থেকে মহম্মদ ইমরান বলে আর একজনকে গ্রেপ্তার করে। ইমরান ফারাক্কার বাসিন্দা। অপহরণকারীদের মধ্যে মূলপাণ্ডা আলকাস খান। লালবাজার জানায়, ক্রিপ্টোকারেন্সির টাকা নিয়ে বিবাদ থেকে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়। আলকাস রাজমুলকে ব্যবসার জন্য ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা দিয়েছিল। কিন্তু রাজমুল সেই টাকা আর ফেরত দিচ্ছিল না। সেজন্য তাঁকে অপহরণের ছক কষে। তদন্তে নেমেই ঘটনার সঙ্গে এসটিএফের এক এসআই-এর যোগ রয়েছে বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার গোটা রাত তাকে জেরা করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই এসআইকে। মনে করা হচ্ছে, চক্রান্তকারীদের মধ্যে একজন ওই পুলিশকর্মী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.