ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ ও সুব্রত বিশ্বাস: খুন নয়, পড়ে গিয়ে বা কোনওভাবে চোট লাগায় মৃত্যু হয়েছে আনন্দপুরের খুদের। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর এমনটাই জানাল পুলিশ। যদিও গোটা ঘটনাটিতে এখনও জারি রহস্য। কিনারার চেষ্টায় পুলিশ।
মৃত খুদের নাম রোহন মণ্ডল। তার মা সোনি মণ্ডল খাতুন। বাবা বিজয় মণ্ডল। আনন্দপুর (Anandapur) এলাকার বাসিন্দা তাঁরা। মৃত খুদের দিদিমা নাতির মৃত্যুর নেপথ্যে জামাইয়ের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন। তিনি জানান, মঙ্গলবার মেয়ে সোনি মণ্ডল ফোন করে তাঁকে জানান যে, তাঁর ছেলে অর্থাৎ রোহনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সময় নাকি কাজে ছিলেন তিনি। মেয়ের কথায় সন্দেহ হয় মিনা বিবির। এরপরই জামাইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
যে ফ্ল্যাটটিতে থাকত মণ্ডল দম্পতি সেখানে তদন্ত যান পুলিশ আধিকারিকরা। সেখানকার আবাসিক সূত্রে খবর, ৬ নভেম্বর বিকেলে মণ্ডলদের ফ্ল্যাট থেকে চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ পান তাঁরা। এরপরই রোহনকে অচৈতন্য অবস্থায় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান সোনি ও বিজয়। প্রতিবেশীদের জানিয়েছিলেন, ছেলে বাথরুমে জলের বালতিতে পড়ে গিয়েছিল। তাতেই সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, মৃত্যু হয়েছে রোহনের। এরপর ছেলের দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে দম্পতি। রাতে গোবরা হিন্দু সমাধিস্থানে দেহটি কবর দেওয়া হয়। এরপর থেকেই বেপাত্তা খুদের বাবা-মা। দিদিমার অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, খুদের মাথায় ও শিরদাঁড়ায় আঘাত রয়েছে। ফলে মনে করা হচ্ছে, খুন নয়, কোনওভাবে পড়ে গিয়ে চোট লাগায় মৃত্যু হয়েছে খুদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.