ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: কাজের সূত্রে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে কলকাতায় (Kolkata) ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন বধূ। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। ভাড়াবাড়িতে নিত্য যাতায়াত শুরু হয় প্রেমিকের। পাশাপাশি স্বামীর সঙ্গে অশান্তিও চলছিল তাঁর। এরইমাঝে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। মঙ্গলবার রাতে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই মহিলা। বর্তমানে এনআরএস হাসপাতালে ভরতি তিনি।
জানা দিয়েছে, ওই মহিলার নাম অনিতা সরদার। স্বামী বিশ্বনাথ সরদার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের বাসিন্দা। কিছুদিন আগে কাজের জন্য শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে কলকাতার আজাদগড়ে থাকার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেখানকার একটা বাড়ি ভাড়া নেন। অভিযোগ, নিতাই সরদার নামে ওইবধূর প্রেমিক নিয়মিত সেখানে যেতেন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে লালবাজারে খবর যায়, আজাদগড়ের বাসিন্দা এক মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ আধিকারিকরা। দেখা যায়, আগুনে ঝলসে গিয়েছেন অনিতাদেবী। ঘটনাস্থলে ছিলেন এক যুবকও। তিনিও আংশিক দগ্ধ অবস্থায় ছিলেন। পুলিশের তরফে রাতেই তাঁদের দু’জনকে কলকাতার দুটি ভিন্ন হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
কিন্তু কী কারণে এই সিদ্ধান্ত? জানা গিয়েছে, ভাড়া বাড়িতে থাকা নিয়েই অনিতার সঙ্গে অশান্তি হয়েছিল নিতাইয়ের। সেই সময় হঠাৎই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন অনিতা। চোখের সামনে প্রেমিকাকে দাউদাউ করে জ্বলতে দেখে বাঁচানোর চেষ্টা করেন নিতাই। সেই সময় দগ্ধ হন তিনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই দুই পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে। ঠিক কী কারণে শ্বশুরবাড়্ ছেড়ে কলকাতায় থাকছিলেন অনিতা? নিতাইয়ের কথা আদৌ জানতেন তাঁর স্বামী? সামান্য বিবাদেই কি এই চরম সিদ্ধান্ত নাকি পিছনে লুকিয়ে গভীর রহস্য, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.