ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বুধবার থেকে বঙ্গে শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra)। কর্মসূচিতে কি তৃণমূলকে আহ্বান জানানো হবে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে রাজ্যেক শাসকদলকে খোঁচা দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তাঁর কথায়, “রাহুল গান্ধী তৃণমূলকেও আহ্বান জানিয়েছিল। তারা মনে করেছে যোগ দেওয়া উচিত নয়। আসেনি। প্রদেশের তরফে তৃণমূলকে আহ্বান করা হবে না।” তাঁকে পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “শূন্য কি কখনও ২১৫-কে আমন্ত্রণ জানায়? বিজেপির বি টিম হয়ে কাজ না করে নিজেদের কর্তব্য পালন করুক।”
এদিন প্রদেশ কংগ্রেসের (Congress) দপ্তর কলকাতার ১১টি লোকাল কমিটির নেতৃত্ব যোগ দেয়। এছাড়া বড়বাজার এলাকার বড় ট্রেড ইউনিয়ন যোগ দানের ইচ্ছেপ্রকাশ করেছে বলে জানান অধীর। ফরোয়ার্ড ব্লকের প্রায় এক হাজার কর্মী-সদস্য কংগ্রেস যোগ দেন। যা দেখে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আশা, “এভাবেই বাংলায় কংগ্রেসের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস বাড়বে।” আগামিকাল থেকে প্রদেশ কমিটির তরফে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র অংশ হিসেবে ‘সাগর থেকে পাহাড় যাত্রা’ শুরু করছে। অন্যান্য রাজ্যে বিজেপি (BJP) বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ রাজ্যে কি তৃণমূল ও সিপিএমকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল?
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধীর জানান, “রাহুল গান্ধী তৃণমূলকেও আহ্বান জানিয়েছিল। তারা মনে করেছে যোগ দেওয়া উচিত নয়, আসেনি। প্রদেশের তরফে তৃণমূলকে আহ্বান করা হবে না। বাকিদের কাছে উদাত্ত আহ্বান স্বৈরতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন জরুরি, যারা আসতে চাইবে তাঁদের আসতে বলব।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সংযোজন, “বামেদের সঙ্গে নির্বাচনী জোট করেছি, কংগ্রেস সংকীর্ণতাকে প্রশ্রয় দেয় না।”
পালটা কুণাল ঘোষ বলেন, “শূন্য কি কখনও ২১৫-কে আমন্ত্রণ জানায় ?বিজেপির বি-টিম হয়ে কাজ না করে নিজেদের কর্তব্য পালন করুক।” তাঁর প্রশ্ন, “গুজরাটে লড়তে গেলেন না কেন? হিমাচলে মুছে দিলেন না কেন। বিজেপির বিরুদ্ধে যেখানে লড়ার কথা সেখানে লড়ুক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.