সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতালের মর্গ থেকে ধাপা, সেখান থেকে থানা, পরিবারের সদস্যের দেহের সন্ধানে এভাবেই এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটেছে এয়ারপোর্ট এলাকার ঘোষ পরিবার। কিন্তু লাভ হয়নি। মৃত্যুর ২ মাস পর মঙ্গলবার অবশেষে করোনায় (Coronavirus) মৃত ওই ব্যক্তির দেহের সন্ধান পেলেন পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Medical College Kolkata) মর্গ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রশান্ত ঘোষের দেহ। গোটা ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত জুলাই মাসের শুরুর দিকে। ওই সময় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করা হয় এয়ারপোর্ট ২ নম্বরের বাসিন্দা প্রশান্ত ঘোষকে। করোনার উপসর্গ থাকায় তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট এলে জানা যায়, তিনি করোনা আক্রান্ত। এরপরই প্রশান্তবাবুর পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। ১৭ জুলাই মৃত্যু হয় প্রশান্তবাবুর। অভিযোগ, পরিবারের সদস্যরা কোয়ারেন্টাইন থেকে ফেরার পর প্রশান্তবাবুর দেহে আর কোনও হদিশ পাননি। একাধিকবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে যান তাঁরা। হাসপাতাল থেকে জানানো হয় ধাপার মাঠে গিয়ে খোঁজ করতে। সেখানে জানানো প্রশান্ত ঘোষ নামে কারও দেহ দাহ করা হয়নি।
কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে বউবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করে মৃতের পরিবার। থানার তরফে ফের তাঁদের পাঠানো হয় কলকাতা মেডিক্যালে। এরপর ওয়ার্ড মাস্টার, রেকর্ড রুম সকলের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। অবশেষে সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তাঁরা। এরপরই নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল। খোঁজ শুরু করতেই ২ মাসের মাথায় হাসপাতালের মর্গ থেকে মেলে প্রশান্তবাবুর দেহ। দেহ হাসপাতালে থাকা সত্ত্বেও কেন রোগীর পরিবারকে বারবার এভাবে হয়রানির শিকার হতে হল, প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.