অর্ণব আইচ: তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস প্রাণহানি থেকে শিক্ষা। বাড়ল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তা। কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশি নিরাপত্তা আরও বাড়াতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাতে সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশ মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজনে তাঁদের ওয়ার্ডে এবং লেডিজ হস্টেলে প্রবেশের অধিকার থাকবে।
বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন,‘‘অন ডিউটি রুমে যথাযথ শৌচালয়ের ব্যবস্থা এবং অনিয়ন্ত্রিত প্রবেশ রুখতে কড়া নজরদারি শনিবার থেকেই চালু হচ্ছে। শুধু আর জি কর নয়, কলকাতা-সহ রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজেই সিসিটিভির ব্যবস্থা করা হবে।” এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে মহিলাদের নিরাপত্তায় কোনওরকম শৈথিল্য রাখা হবে না বলে সাফ জানান স্বাস্থ্যসচিব। সন্ধ্যায় আর জি করের বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাকে শোকজ করে স্বাস্থ্যভবন। প্রয়োজনে নতুন সংস্থাকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হবে।
শনিবার আর জি করের ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়েই হস্টেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক মহিলা চিকিৎসক ও নার্স। তাঁদের অভিযোগ, শুক্রবার এমন হাড়হিম করা নৃশংস ঘটনাস্থলে আদৌ সিসিটিভি আছে কি? সিসিটিভি রয়েছে লম্বা প্যাসেজে। একই অবস্থা মেডিসিন, প্লাস্টিক সার্জারি, পেডিয়াট্রিক্স সার্জারিতে। তবে ট্রমা কেয়ার সেন্টারের প্রতিটি তলায় সিসিটিভির নজরদারি রয়েছে। ইন্টার্ন ও পিজিটিদের একাংশের অভিযোগ, বর্তমান অধ্যক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষের উপস্থিতিতে নিরপেক্ষ তদন্ত কতটা সম্ভব তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। এদিন আর জি করের তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনা নিয়ে নবান্নে প্রশাসনের শীর্ষ মহলে বৈঠক হয়।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল ও চিকিৎসকদের রেস্ট ও চেঞ্জিংরুমে ঠিক কতগুলি সিসিটিভি রয়েছে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে খোদ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষমহলেই। আরও বড় প্রশ্ন, সিসিটিভি থাকলেও তার মধ্যে কতগুলি কাজ করে? প্রায় একইরকমের সমস্যা রয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের লেডিজ হস্টেল নিয়েও। লেডিজ হস্টেলের নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা রয়েছে প্রায় সব মেডিক্যাল কলেজেই। ব্যতিক্রম পিজি হাসপাতাল। পিজির মূল ভবন ও বিআইএন মিলিয়ে প্রায় এক হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। রয়েছে কড়া নিরাপত্তা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.